নায়ক হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া মোস্তাফিজের

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক

দলকে জিতিয়ে নায়ক হওয়ার দারুণ সুযোগ ছিল মোস্তাফিজের সামনে। কিন্তু তিন বলে ১৯ রান দিয়ে সেই সুযোগ হাতছাড়া করলেন বাংলাদেশি পেশার।

শেষ ওভারে জিততে লক্ষ্ণৌর প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। প্রথম দুই বলে ১০ রান দেন মোস্তাফিজ। পরের বলে নো বলসহ পাঁচ রান দেন ফিজ। এরপর ফ্রি হিটে আরেকটি চার হজম করেন মোস্তাফিজ।

গতকাল মঙ্গলবার ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ঋতুরাজের দারুণ এক সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানের পুঁজি পায় চেন্নাই। জবাব দিতে নেমে স্টয়নিসের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে লক্ষ্ণৌ।

ম্যাচে পঞ্চম ওভারে প্রথমবার বল হাতে পান বাংলাদেশি পেসার। প্রথম বলে চার হজম করলেও পরের পাঁচ বলে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তুলে নেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের উইকেট। এরপর পঞ্চদশ ওভারে ফের তাকে আক্রমণে আনেন ঋতুরাজ। সেই ওভারে ১৩ রান খরচ করেন এই বাঁহাতি। অষ্টাদশ ওভারে হজম করেন ১৫ রান।

শেষ ওভারের চ্যালেঞ্জে মোস্তাফিজকে বাজি ধরেছিলেন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড। তবে প্রতিদান দিতে পারলেন না বাংলাদেশি পেসার।টাইগার এই পেসারের প্রথম বল গ্যালারিতে আছড়ে ফেলেন মার্কাস স্টয়নিস। পরের বলে আবার ৪ মারেন স্টয়নিস। তৃতীয় বলটি নো বলসহ পাঁচ রান দেন ফিজ। ফ্রি হিটে ফের ৪ মেরে লখনৌকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিলেন স্টয়নিস।

এর আগে অধিনায়ক ঋতুরাজের অপরাজিত সেঞ্চুরি ও শিভম দুবের বিস্ফোরক ফিফটিতে দুইশ ছড়ানো সংগ্রহ গড়ে চেন্নাই। ৬০ বলে ৩ ছক্কা ও ১২ চারে ১০৮ রান করেন ঋতুরাজ। তার সঙ্গে ৪৬ বলে ১০৪ রানের জুটি গড়ার পথে রীতিমতো তাণ্ডব চালান দুবে। ২৭ বলে সাত ছক্কা ও তিন চারে তিনি করেন ৬৬ রান।

চেন্নাাইয়ের ঘরের মাঠে ২১১ রানের টার্গেট তাড়া করে জয়টা বেশ কঠিনই ছিল লখনৌয়ের জন্য। কুইন্টন ডি’কক ফিরে যান কোনো রান না করেই। অধিনায়ক কেএল রাহুলকেও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে দিলেন না মুস্তাফিজ। ১৪ বলে ১৬ রান করেন তিনি। এর পরই ইনিংসের হাল ধরেন স্টয়নিস। লখনউয়ের ডুবন্ত নৌকা কার্যত একার হাতে তীর পর্যন্ত নিয়ে যান তিনি। অনবদ্য সেঞ্চুরিও হাঁকিয়ে ফেলেন তিনি। তাকে সঙ্গ দেন নিকোলাস পুরান এবং দীপক হুডা। পুরান মাত্র ১৫ বলে ৩৪ রান করেন। আর হুডা ১৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন।