নাম মাত্র খরচে মহাকাশ ভ্রমণের সুবর্ণ সুযোগ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

গ্রহ তারা চেনার শ্রেষ্ঠ স্থান বিড়লা তারামণ্ডল। এর কোনও বিকল্প নেই। এতদিন এটাই জেনে এসেছে রাজ্যবাসী। বাঙালির তারা ‘গোনার’ ডেসটিনেশন বদলে যেতে চলেছে হাওড়ার তারামণ্ডলের হাত ধরে। পুজোর আগেই যা খুলে যাবে সাধারণ মানুষের জন্য।

তারামণ্ডল মানে ময়দান ও সদনের মাঝের ওই সাদা বাড়ি। এর সিকুয়েল এবার চলেই এল বলে। কোনও টাটা বিড়লা নয়। সৌজন্যে হাওড়া কর্পোরেশন। মেয়র রথীন চক্রবর্তীর চেষ্টায় তৈরি হচ্ছে হাওড়ার তারামণ্ডল। হাওড়ার আর্কাইভ গড়ে চমকের শুরু।

তালিকায় নয়া সংযোজন তারামণ্ডল। হাওড়া ময়দানের শরৎ সদন হলের মধ্যেই কাজ চলছে তারামণ্ডল তৈরির। যা শুধু মুক্তির অপেক্ষায়। তবে হাওড়ার তারামণ্ডলের গঠনের সঙ্গে অনেকটাই মিলবে কলকাতার তারামণ্ডলের। আসলে পার্ট টু – ছোঁয়া থাকতেই পারে বলে জানাচ্ছে হাওড়া কর্পোরেশন।

এই পরিকল্পনার শুরু হয়েছিল বছর খানেক আগেই। হাওড়ার মেয়র পারিষদ দিব্যেন্দু দে বলেন, “হাওড়ার মানুষকে একটা সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম। সেখান থেকেই এই কাজের ভাবনা। মেয়র সায় দিয়েছেন। কাজ হচ্ছে পুরোদমে।” একইসঙ্গে তাঁর দাবি, “এটা বিড়লা তারামণ্ডলের চেয়ে অনেক ভালো হবে।”

দিব্যেন্দু দে বলেন , “১০০ মানুষ বসে এই তারামণ্ডলের শো উপভোগ করতে পারবেন।” কলকাতায় হাওড়ার বহু যেতে পারে না। এখানে এলে সেই আহ্লাদ মিটবে আমি ফলাও করে বস পারি হাওড়ার তারামণ্ডল কলকাতার থেকে ভালো হবে।”

4K রেসিলিউসনে তারামণ্ডলের দেওয়াল ঢাকা থাকবে। আকাশ দেখার জন্য থ্রি ডিতে দেখা যাবে তারামণ্ডলে তারাদের কাহিনী। এর পাশাপাশি জ্যোতির্বিদ্যা পড়াশোনার কেন্দ্র হিসাবেও এই তারামণ্ডলকে গড়ে তোলা হবে। যেমনটি হয় বিড়লা তারামণ্ডলে। তেমনই গ্রহণের সময় চাঁদ তারা দেখার সুযোগ পেতে পারে হাওরাবাসী।

যে সুযোগ এতদিন লুটেপুটে খেয়ে এসেছে মহানগরবাসী সেই সুযোগ মিলবে হাওড়াতে বসেই। মেট্রো হয়ে গেলে কলকাতার মানুষও ইচ্ছা করলে আসতে পারবেন। এক্ষেত্রে পর্যটনের ক্ষেত্রে নতুন জায়গা হতেই পারে হাওড়ার তারামণ্ডল।

মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, “হাওড়ার উন্নয়নের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। সেই চেষ্টা থেকেই এই ভাবনা। সেটা এখন রূপ পাচ্ছে। পুজোর আগে এটা শহরবাসীর জন্য উপহার হতে চলেছে।”

পঞ্চাননতলা রোডের কাজ শেষের মুখে। তৈরি হচ্ছে নতুন আর্কাইভ এবং তারামণ্ডল। সবমিলিয়ে পুজোর আগে নতুন হাওড়ার দেখা মিলবে তা বলা যেতেই পারে।