সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
উৎসবমুখোর পরিবেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি ৫৮তম জাতীয় দিবস ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ২৮তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে দেশটি।
১৯৬১ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে মুক্ত হওয়ার পর দিনটিকে জাতীয় দিবস এবং ১৯৯১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইরাকি আগ্রাসন থেকে মুক্ত হওয়ার দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এরপর থেকে প্রতি বছর ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি নান আয়োজনের মাধ্যমে যথাক্রমে জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস পালন করে দেশটি।
দিবস দুটি উপলক্ষে কুয়েতের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সরকারি-বেসকারি ভবন, সড়ক, পার্ক, শপিংমল, বাসাবাড়িসহ সব জায়গা লাল-সবুজ-সাদা ও কালো জাতীয় পতাকার রঙে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। কুয়েতের বিভিন্ন অঞ্চলে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় মেলা, বিভিন্ন নাচ,গান, অভিনয়, সার্কাস, জাদুসহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস ঘিরে কুয়েত সাজে নতুন রূপে। ঈদের আনন্দের চেয়েও এই দিবসটিতে স্থানীয়রা বেশি আনন্দ করে করে থাকে। নারী-পুরুষ, বৃদ্ধা ছেলেমেয়ে সবাই জাতীয় পতাকা রঙে পোশাক পরিধান করে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা পানির পিস্তল, পানিভর্তি বেলুন নিয়ে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে একে অন্যের দিকে ছুড়ে মারে।
স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়ান এবং প্রিয়জনদের নিয়ে উপভোগ করেন কুয়েতের অপরূপ সৌন্দর্য।