নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর:
নাটোরে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আহাদ আলী সরকারের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় হামলায় আহত হয়েছে মিঠুন নামে আহাদ আলী সরকারের এক সমর্থক। এ ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা মানিক পাশা ও তার সমর্থক শাহাদতকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে আহাদ আলী সরকারের সমর্থকরা।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার শিবদুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
মানিক পাশা ফুলতলা এলাকার মোস্তফা ড্রাইভারের ছেলে ও যুবলীগের থানা কমিটির সদস্য। তবে শাহাদতের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তিনি সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার ফুলতলা ও শিব্দুরগ্রাম এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন। বিকাল ৫টার দিকে ফুলতলা এলাকায় গেলে সন্ত্রাসী মানিক তার নেতা-কর্মিদের গালিগালাজ ও মারপিট করার চেষ্টা করে। পরে নেতা-কর্মিরা তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। পরে তিনি শিব্দুরগ্রাম এলাকায় গেলে পেছন থেকে মানিক তার সহযোগিদের নিয়ে বহরের ওপর হামলা করে অন্তত ৬ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এ সময় মিঠুন নামে আহাদ আলী সরকারের এক সমর্থক আহত হয়। হামলার সময় তার সমর্থক তাকে একটি চায়ের দোকানে নিয়ে যায়। পরে তার নেতাকর্মিরা হামলাকারী মানিক পাশা ও তার সমর্থক শাহাদতকে আটক করে পুলিশে দেয়।
হামলার শিকার সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা। মদপ্য অবস্থায় কিছু লোক আমার বহরের ওপর হামলা করেছে। তবে এনিয়ে তিনি কাউকে দোষারোপ করতে চান না।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত বলেন, এলাকায় ব্যাপক পরিমাণ পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এবিষয়ে অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স/শা
