নাটোরে ভূতুড়ে বিলে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকদের তোপের মুখে মিটার রিডার

বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি:
নাটোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ভূতুড়ে বিলে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকদের তোপের মুখে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন মিটাররিডার কাম ম্যাসেঞ্জার। পরে কর্তৃপক্ষ সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিলগুলি প্রত্যাহার করে নিলে অবরুদ্ধ গ্রামবাসী ওই মিটার রিডারকে কয়েক ঘন্টা ছেড়ে দেয়। আজ বুধবার বাগাতিপাড়া উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, নাটোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার আব্দুল জলিল বাগাতিপাড়া উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের গ্রাহকদের বাড়ি বাড়িতে গত আগষ্ট মাসের বিদ্য্ৎু বিল পৌছে দিতে যায়। কিন্তু ওই বিলের টাকার পরিমান দেখে গ্রাহকদের চোখ কপালে ওঠে। তারা ওই বিল দেখে বিস্মিত ও হতভম্ব হয়ে যায়। তারা দেখে প্রত্যেকের বিদ্যুৎ বিল বিগত মাসের চেয়ে কয়েকগুন বেশী। এসময় ওই গ্রামে গ্রাহকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে বিল সরবরাহকারী মিটার রিডার আব্দুল জলিলের কাছে বিল বেশী হওয়ার কারন জানতে চায়। কিন্তু মিটার রিডার সদোত্তর দিতে না পারায় গ্রাহকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। এসময় ওই মিটার রিডারকে অবরুদ্ধ করে রাখে গ্রাহকরা। কয়েক ঘন্টা পর কর্তৃপক্ষ বিলগুলি প্রত্যাহার করে সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দিলে গ্রাহকরা শান্ত হয়।

গ্রাহকরা জানান, এই ভূতুড়ে বিল পরিশোধ করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এক মাসের বিল পরিশোধ করতে না পারলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। গ্রাহকদের পুনরায় সংযোগ নিতে নাটোর অফিসে গিয়ে ১২০০ টাকা জরিমানা গুনতে হয়। ওই ভুতুড়ে বিল হাতে পেয়ে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েন।


মাড়িয়া গ্রামের গ্রাহক ইকবাল হোসেন বলেন,গত জুলাই মাসে তার বিদ্যূৎ বিল আসে ২১৪ টাকা। আগষ্ট মাসে একই টিভি,ফ্যান-বাল্ব ব্যবহার করেছেন। অথচ তার বিদ্যুৎ বিল করা হয়েছে এক হাজার ৭টাকা।

গ্রাহক মাসুদ আলী জানান, গত জুলাই মাসে তিনি বিদ্যুৎ বিল দিয়েছেন ২১৩ টাকা। এবার আগষ্ট মাসে বিল এসেছে ১হাজার ৬৭টাকা। জহুরুল ইসলামের জুলাই মাসের বিল দিয়েছেন ৩শত ২৫টাকা। এবার আগষ্টের বিল এসেছে ১ হাজার ৬ টাকা। এমন অভিযোগ মাড়িয়া গ্রামের প্রায় সকল গ্রাহকের। এমন ভুতুড়ে বিল হাতে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকার নারি-পুরুষ।

গ্রাহকরা বলেন, ক্ষোভের কারনে তারা অবরুদ্ধ করে রাখেন বিল দিতে আসা মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার আব্দুল জলিলকে। বিষয়টি নাটোর পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির ১ এর একাধিক কর্মকর্তাকে বার বার অবহিত করা হয়।

প্রায় ৫ ঘন্টা পর তাদের দাবিকে সম্মান জানিয়ে পল্লী বিদুৎ সমিতি-১ এর জিএম বিল ফেরত নিয়ে সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিলে চলতি মাসের সকল বিল ফেরত দিয়ে ম্যসেঞ্জারকে ছেড়ে দেয় গ্রাহকরা।

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার সোহরাব হোসেন বলেন, বাগাতিপাড়ার একটি গ্রামে গ্রাহকদের বিলিংয়ের কিছুটা সমস্যা হয়। পরে বিষয়টি সংশোধন করে গ্রাহকদের হাতে পুনরায় আগষ্ট মাসের বিদ্যুৎ বিল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বরত মিটার রিডার সঠিক সময়ে রিডিং না করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স/অ