নাটোরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি পরিবারকে উচ্ছেদের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক,নাটোর:

জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ১৩টি পরিবারকে উচ্ছেদ এর ঘটনায় ৩ সদ্যেস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের যুগ্ন সচিব সাইদুর রহমানকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এবং আইন মন্ত্রণালয়ের দুইজন উপ সচিব।
এদিকে, উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলোর পাশে দাড়িয়েছেন নাটোর জেলা প্রশাসন। শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাক (রাজস্ব) মনিরুজ্জামান ভুইঞা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড. চিত্তলেখা নাজনীন, নলডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা হাসান সহ অন্যােন্যরা।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন বলেন, উচ্ছেদ হওয়া আদিবাসিদের সরকারী খাস জায়গায় পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা হয়ে। এছাড়া সরকার পক্ষ হয়ে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে। যতদিন না মামলার সমাধান হয় ততদিন অন্য জায়গায়  তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।


গত ২মে  উপজেলার পূর্ব মাধনগর গ্রামের ডিগ্রি কলেজের পিছনে ৩০ শতক খাস জমির উপর ১৯৪০ সাল থেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ১৩টি পরিবার বসবাস করে আসছিল। পরে ওই ৩০ শতক খাস জমি আদিবাসীরা সরকারের কাছ থেকে পত্তন পায়।
কিন্তু ১৯৬৮ সালে বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী ৩০ শতক খাস জমিসহ মোট ৫০ শতক জমি ওই গ্রামের বজলুর রশিদের পিতা ইমাজ উদ্দিনের সাথে বিনিময় করেন। পরে ওই জমির দখল বুঝে পেতে ইমাজ উদ্দিন বাদী হয়ে ১৯৯৬ সালে নাটোর সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর জমিটির ডিগ্রি পায় ইমাজ উদ্দিনের ছেলে বজলুর রশিদ। আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আদিবাসী গোষ্ঠিরা আপিল করলেও আপিলটি খারিজ হয়ে যায়।
এরপর গত ২ মে মঙ্গলবার নাটোর সহকারী জজ আদালতের রায়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ১৩টি পরিবারকে পূর্ব নোটিশ না দিয়েই বাড়িঘর গুড়িয়ে দিয়ে উচ্ছেদ করেন প্রশাসন।
এসময় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন আদালতের প্রতিনিধি নাজির সুনীল কুমারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। তবে, উচ্ছেদ অভিযান একজন ম্যাজিস্ট্রেটের এর উপস্থিতিতে হওয়ার কথা থাকলেও সে নিয়ম মানা হয়নি।
বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে উচ্ছেদ হওয়া জায়গায় অবস্থান করছে উচ্ছেদ হওয়া আদিবাসীরা।

স/শ