নর্থ সাউথের প্রো-ভিসিসহ ৪ জন রিমান্ডে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

গুলশানের রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় জড়িত জঙ্গিদের বাড়ি ভাড়া দেওয়ার আগে নাম-ঠিকানাসহ তথ্য না রাখার অভিযোগে আটক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রো-ভিসি গিয়াসউদ্দিন আহসানসহ চারজনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. তসরুজ্জামান শুনানি শেষে  রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডকৃত অপর আসামিরা হলেন- ভারপ্রাপ্ত প্রো-ভিসি গিয়াসউদ্দিন আহসান, তার ভাগ্নে আলম চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিনের বাড়ির কেয়ারটেকার মাহবুবুর রহমান তুহিন ও শেওড়াপাড়া থেকে গ্রেপ্তারকৃত নুরুল ইসলাম।

এর আগে রোববার দুপুরে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের ইন্সপেক্টর হুমায়ুন কবির আসামিদের ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে হাজির করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ড শুনানিতে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এবং প্রসিকিউশন পুলিশের সহকারী কমিশনার মিরাশ উদ্দিন বলেন, গত ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিক ও ৩ বাংলাদেশিসহ ২০ জন নিহত হয়। এ ছাড়া হামলায় নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাও। ওই ঘটনায় হামলাকারী জঙ্গিরা গিয়াসউদ্দিনের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৬ নম্বর সড়ক, ব্লক-ই, টেনামেন্ট-৩-এর ফ্ল্যাট এ/৬ এ এবং শেওড়াপাড়ার নুরুল ইসলামের বাসা ভাড়া নেয়। হামলার দিন পর্যন্ত তারা ওই বাসায় অবস্থান করেছিলেন। হামলাকারীদের বাসা ভাড়া দিলেও নিয়ম অনুযায়ী তাদের সম্পর্কে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য দেয়নি তারা। যেহেতু হামলাকারী হামলার দিন পর্যন্ত উক্ত বাড়িগুলোয় অবস্থান করছিলেন- তাই ওই বাড়িগুলোতে অবস্থান করে তারা হামলার পরিকল্পনা করতে পারেন। এ ছাড়া হামলাকারীদের বাসা ভাড়া দিয়ে তা গোপন করায় তারাও এই মামলার সঙ্গে থাকতে পারে মর্মে ধারণা করা হচ্ছে। তাই আসামিদের উক্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।


আসামি পক্ষে আসামি গিয়াসউদ্দিনের পক্ষে অ্যাডভোকেট আরফান উদ্দিন খান এবং নুরুল ইসলামের পক্ষে অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদনে বলেন, আসামি  গিয়াসউদ্দিনের ওই বাড়ির মালিক হলেও দেখা-শোনার যাবতীয় দায়িত্ব ছিল আসামি আলম চৌধুরী এবং মাহবুবুর রহমান তুহিনের ওপর। তাই হামলাকারীদের সম্পর্কে তার কোনো ধারণাই নেই। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক, শিক্ষকতাই তার ধ্যান-জ্ঞান। অন্যদিকে আসামি নুরুল ইসলামও একজন হাইস্কুল শিক্ষক। তিনি কোনো তথ্য গোপন করেননি।

সূত্র জানায়, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে গুলশান হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

প্রসঙ্গত, হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলার পর গত ৪ জুলাই রাতে গুলশান থানার এসআই রিপন কুমার দাস বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে।

 

সূত্র:রাইজিংবিডি