সিল্কসিটি নিউজে খবর প্রকাশের জের

‘নয়া সন্ত্রাসীদের আনাগোনা চিহিৃতরা আত্মগোপনে’

মহাদেবপুর প্রতিনিধি :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বহুল আলোচিত ‘রকি বাহিনী’র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। টনক নড়েছে কর্তৃপক্ষের। কিন্তু প্রভাবশালী এই বাহিনীর লাগাম টেনে ধরতে সংশ্লিষ্টদের তেমন কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ চোখে পড়েনি। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিষয়টি টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।

গত ১৩ আগস্ট রাজশাহীর সিল্কসিটি নিউজ ডট কমে ‘সংবাদকর্মীদের হাত কেন বারবার টার্গেট, রকি বাহিনীর সন্ত্রাসীদের থামাবে কে?’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে বাহিনীটির নানান কুকীর্তি ও সন্ত্রাসী হয়ে ওঠার কাহিনী ফাঁস হচ্ছে। তাদের নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীরা প্রতিকারের আশায় সাংবাদিকদের ঘটনাগুলো অবহিত করছেন। এতদিন যারা মুখ খুলতে সাহস পাননি, এখন তারাও সেসব অন্যায়ের বিচার দাবি করছেন।

নাম-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ওই বাহিনীর একজন সদস্য জানান, গত ১৬ আগস্ট সকালে বাহিনী প্রধান তার এক বিশ্বস্ত সহযোগীকে সাথে নিয়ে কারযোগে মহাদেবপুর থানা এলাকার নক্ষত্র বাড়ি থেকে নওগাঁ যান। এরপর সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য তার বস ঢাকায় অবস্থান করছে। বাহিনীর চিহৃত সদস্যরা আত্মগোপনে রয়েছে। পার্শ্ববর্তী বগুড়া, জয়পুরহাট, হিলি ও রাজশাহীর ২৭ জন ক্যাডার মহাবেপুরে অবস্থান করছে। তারা বড় ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংঘটিত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে বলেও জানান তিনি। গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাহিনীটির প্রধান আত্মগোপনে নিরাপদস্থানে ঢাকায় অবস্থান করছে বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে।

রকি বাহিনীর বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের (ভারপ্রাপ্ত) কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম। মুঠোফোনে জানতে চাইলে র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল রিয়াজ শাহরিয়ার পিএসসি, জি জানান, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখবেন। কোনো ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।