নব্বই দশকের স্মৃতি জাদুর বাক্সে ফেরালেন শামীম

একটা সময় গ্রামের মানুষের বিনোদনের প্রধান মাধ্যম ছিল রেডিও, টেলিভিশন। গ্লোবাল ভিলেজের যুগে এসব এখন রূপকথার গল্প হয়ে গেছে। নেটওয়ার্কের বাইরে গ্রামের মানুষের ওপর বিনোদনের মাধ্যমগুলো কেমন প্রভাব ফেলত তা নিয়ে একটি শর্টফিল্ম নির্মাণ করেছেন শামীম হোসেন।

‘জাদুর বাক্স’ নামের এই শর্টফিল্মটি মঙ্গলবার হাইস্পিড প্রোডাকশন ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শামীম হোসেনের রচনা ও পরিচালনায় এতে সহকারী পরিচালক ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ইসমাইল হোসেন সৌরভ। চিত্রগ্রহণ করেছেন সগীর খান।

ফর্সা ডিটারজেন্ট পাউডার নিবেদিত মিলন খানের প্রযোজনায় শর্টফিল্মে মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন শামীম হোসেন, এনায়েত রাজীব, সিনথিয়া পারভিন পল্লবী, এমডি আরফিন ইসলাম ও চায়না আলম।

নির্মাতা শামীম বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকে যাদের শৈশব গ্রামে কেটেছে, তাদের বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম ছিল রেডিও, টেলিভিশন। মানুষ তখন দলবেঁধে বেতার, টেলিভিশনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপভোগ করতেন। টেলিভিশনের ব্যাপক প্রসার শুরু হলে রেডিওর প্রভাব কমতে থাকে। গ্রামের মানুষের জীবনে রেডিও, টেলিভিশ তখন কেমন প্রভাব ফেলত সেই গল্পই তুলে ধরা হয়েছে ‘জাদুর বাক্স’ শর্টফিল্মে। আশা করি, সবাই উপভোগ করবেন।’

১৯৯২ সালে যশোরের বাঘারপাড়া থানায় জন্মগ্রহণ করা শামীম ২০১৫ ও ২০১৬ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। মানস নাট্যাঙ্গনের এই থিয়েটার কর্মীর অভিনয় জীবনে প্রবেশ ২০১৬ সালে ইয়াসিন রহমান সুমনের পরিচালনায় শিশু মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীক ‘কান্ট্রি ইজ মাই হার্ট’ শর্টফিল্মের মাধ্যমে।

শামীমের লেখা ও পরিচালনায় প্রথম শর্টফিল্ম ‘যদি থাকে নসিবে’ মুক্তি পায় ২০১৯ সালে। এরপর তিনটি নাটক ও ২০টির বেশি শর্টফিল্ম রচনা ও পরিচালনা করেছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ কাজের মধ্যে রয়েছে- ভিলেজ মেম, তাফালিং জামাই, নবাব আলম, প্রেম সম্রাট, কাঠগড়ায় মায়ের সম্মান ইত্যাদি।

 

সূত্রঃ যুগান্তর