নদীতে বেড়াতে গিয়ে ছেলেসহ নিখোঁজ পুলিশ সদস্য

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মধুমতী নদীতে বেড়াতে গিয়ে ট্রলার থেকে পড়ে এক পুলিশ সদস্য ও তার ছেলে নিখোঁজ হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার কালনাঘাটে মধুমতী নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার ভোর থেকে তাদের উদ্ধার করতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর খুলনা অঞ্চলের সাত সদস্যের ও বরিশাল থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের ডুবুরি দল কাজ করছে বলে জানা গেছে।

নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবলের নাম আবু মুসা রেজওয়ান (২৮) ও তার ছয় মাস বয়সী শিশুপুত্র আনাস।

আবু মুসা পুলিশ সদর দফতরে কর্মরত ছিলেন। তিনি লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চাচই গ্রামের আজাদ মোল্লার ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মুসা তার কর্মস্থল থেকে এক সপ্তাহ আগে ছুটিতে বাড়িতে ফেরেন।

গত শুক্রবার বিকালে ট্রলার ভাড়া করে মুসা তার স্ত্রী, ছেলেসহ আটজন আত্মীয় মিলে কালনাঘাট এলাকার মধুমতি নদীতে ঘুরতে বের হন।

নদীতে ঘোরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় তারা ঘাটের দিকে ফিরছিলেন। এ সময় কালনা ঘাটে নির্মাণাধীন সেতু এলাকায় এসে মাঝ নদীতে তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়।

এতে স্রোতের তোড়ে ট্রলারটি নির্মাণাধীন কালনা সেতুর একটি পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায়।

এ সময় বাবা মুসার কোলে থাকা শিশু আনাস নদীতে পড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করার জন্য মুসা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এরপর থেকে ছেলেসহ মুসা নিখোঁজ রয়েছেন।

পরে স্থানীয় লোকজন ওই ট্রলারে থাকা মুসার স্ত্রীসহ পরিবারের বাকি সদস্যদের অন্য একটি ট্রলারে করে তীরে ফেরানো হয়।

খবর পেয়ে লোহাগড়া ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং নদীতে তল্লাশি চালিয়েও নিখোঁজ বাবা ও ছেলের কোনো সন্ধান পায়নি।

লোহাগড়া ফায়ার সার্ভিসের তত্ত্বাবধায়ক মাসুদ রানা জানান, শনিবার ভোর থেকে তাদের উদ্ধার করতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর খুলনা অঞ্চলের সাত সদসস্যের ও বরিশাল থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর