নতুন বছরের শুরুটা ভালো হলো না সালাহ-ফিরমিনোদের

নতুন বছরের শুরুটা ভালো হলো না ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের তালিকার শীর্ষে থাকা দল লিভারপুলের। সাউদাম্পটনের বিপক্ষে হেরে গেছে শিরোপাধারীরা। সোমবার প্রতিপক্ষের মাঠে ১-০ ব্যবধানে হারে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। সাউদাম্পটনের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন লিভারপুলের সাবেক ফরোয়ার্ড ড্যানি ইঙ্গস।

ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় সাউদাম্পটন। জেমস ওয়ার্ড-প্রাউসের ফ্রি কিক ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল মিস করেন ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ড। ডি-বক্সে বল পেয়ে প্রথম স্পর্শে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ইঙ্গস। প্রিমিয়ার লিগে এই ইংলিশ ফরোয়ার্ডের এটি ৫০তম গোল।

পঞ্চম মিনিটে প্রথম সুযোগ তৈরি করে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে আগের ছয় লিগ ম্যাচে ১৭ বার বল জালে পাঠানো লিভারপুল। ডান দিক থেকে মোহামেদ সালাহর পাস ডি-বক্সে খুঁজে পায় রবের্তো ফিরমিনোকে। বাইরে মেরে হতাশ করেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

একাদশ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারতো সফরকারীরা। অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের ক্রসে সাদিও মানের হেড ফেরান ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার-পিটার্স। ৩৪তম মিনিটে ডি-বক্সের সামনে থেকে উড়িয়ে মারেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড মানে।

বিরতির আগে সুবর্ণ সুযোগ পান সালাহ। বাঁ দিক থেকে মানের ক্রসে ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে মিশরের এই ফরোয়ার্ডের হেড উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। প্রথমার্ধে গোলের উদ্দেশে মোট ছয়টি শট নেওয়া লিভারপুল একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি।

অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে দ্বিতীয়ার্ধেও একের পর এক আক্রমণ করে যায় চ্যাম্পিয়নরা। ৫৭তম মিনিটে কাছ থেকে মানের নেওয়া শট ব্লক করেন ডিফেন্ডার জ্যাক স্টিভেন্স।

৭৫তম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নিতে পারে লিভারপুল; তবে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি, মানের শট সহজেই ধরে ফেলেন তিনি।

আর যোগ করা সময়ে কর্নারে মানের হেড উড়ে গেলে আসরে দ্বিতীয়বারের মতো হারের হতাশায় মাঠ ছাড়তে হয় চ্যাম্পিয়নদের।

হারলেও তালিকার শীর্ষে আছে লিভারপুল। গত আসরের চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ১৭ ম্যাচে ৩৩। তবে তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। রেড ডেভিলদের সামনে এখন মৌসুমে প্রথমবার শীর্ষে ওঠার সুযোগ। লিভারপুলের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইউনাইটেড। আর টানা পাঁচ ম্যাচ পর জয় নিয়ে এভারটনকে টপকে ষষ্ঠ স্থানে ওঠে এসেছে সাউদাম্পটন। ১৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৯।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ