নতুন করে হানা দিতে পারে করোনা, সতর্ক করল চিন

করোনা আতঙ্ক এখনও শেষ হয়নি। নিত্যনতুন আক্রান্তের খবর আসছে। তালিকা বাড়ছে মৃতের। এরই মধ্যে ভয়ের খবর দিল চিন। সেদেশের এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের মতে এরই মধ্যে নতুন করে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠার আশঙ্কা থাকছে।

ইতিমধ্যেই চিনে দ্বিতীয়বার হানা দিয়েছে করোনা। এমনই মনে করা হচ্ছে। যে চিনা প্রদেশগুলিতে করোনার সেভাবে প্রকোপ ছিল না, সেখানে রবিবার ১০ জনের শরীরে করোনার ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। সোমবার চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে আরও তিনজনকে কোভিড পজেটিভ বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরা বাইরে থেকে এসেছিল।

রিপোর্ট বলছে সেদেশে এখন অ্যাসিম্পটোম্যাটক ১৩জন। এদের মধ্যে দুজন বাইরে থেকে এসেছে। কিন্তু জ্বর, গলা ব্যথা, কাশির মতো কোনও লক্ষ্মণই এদের নেই। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে চিনের।

চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের মুখপাত্র মি ফেং বলেন ১০টি প্রদেশ থেকে নতুন করে করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে। গত ১৪ দিন ধরে সংক্রমণ আর কোথায় কোথায় ছড়িয়েছে, তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে। জাতীয় সংবাদসংস্থা জিনহুয়ার দাবি নতুন করে করোনা ছড়াচ্ছে চিনে। বেজিংয়ে ইতিমধ্যেই বহু স্কুল কলেজ, ট্যুরিস্ট স্পট, দোকান খুলে গিয়েছে। ফলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।

এদিকে, মানুষের থেকে মানুষে করোনা ভাইরাস ছড়ানো নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছে চিন। এমনকি যে সব চিনা গবেষক এই ইস্যুতে মুখ খুলতে গিয়েছেন, তাদের কার্যত হাপিশ করে দেওয়া হয়েছে। এমনই বিস্ফোরক দাবি করছে ১৫ পৃষ্ঠার গোয়েন্দা রিপোর্ট।

ওই গোয়েন্দা রিপোর্টের দাবি করোনা ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না। এমনকী যে সব দেশ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে, তাদেরও ভুল পথে চালনা করছে চিন।

উল্লেখ্য এই গোয়েন্দা রিপোর্ট অনিচ্ছাকৃত ভাবে প্রকাশিত হয়েছে। ফাঁস হয়ে যাওয়া ওই তথ্যে চিনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছে। জানানো হচ্ছে এই ফাঁস হয়ে যাওয়া রিপোর্ট তৈরি করেছে ফাইভ আইজ সিকিওরিটি অ্যালায়েন্স। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেজিং-এর গোপন তথ্য প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে।

রিপোর্ট বলছে চিন সরকার করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত আসল তথ্য চাপতে চেয়েছে। যারাই এই তথ্য প্রকাশ করতে চেয়েছে, তাঁদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী ইন্টারনেট থেকেও এই সংক্রান্ত তথ্য মুছে ফেলার অভিযোগ উঠেছে চিনের বিরুদ্ধে।

 

আরও পড়ুন:

করোনার ১৪টি ভ্যাকসিন শনাক্ত করেছে হোয়াইট হাউস