নগরীর সিডিএম হাসপাতালের সিজারিয়ানে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর অবস্থিত সিডিএম হাসপাতালে এবার সিজারিয়ান রোগির অভিভাবকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২২ হাজার টাকায় সিজার করার কথা বলে আদায় করা হয়েছে ৭৪ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার (২ মে) ভুক্তভোগি চারঘাট উপজেলার আস্করপুরগ্রামের মোমিনুল ইসলাম রাজশাহী সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষক অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগি মোমিনুল ইসলাম অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, গত ২৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৭টার দিকে তার স্ত্রীর প্রসব ব্যাথা ওঠে। এসময় মোমিনুলের পরিচিত পিপল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের অংশিদার পলাশ নামে এক ব্যক্তিকে ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি জানান। এসময় পলাশ তার স্ত্রীকে জরুরী ভিত্তিতে সিজার করাতে হবে মর্মে রাজশাহীতে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। তিনি পলাশের কথা মত স্ত্রীকে রাজশাহীতে আনলে তাকে নগরীর লক্ষীপুর সিডিএম হসপিটালে ভর্তি করানো হয়। এসময় মোমিনুল ইসলাম পলাশের কাছে জানতে চান সিডিএম হসপিটালে সিজারের কত টাকা লাগবে। পলাশ তাকে জানান. আমি সিজারের ব্যবস্থা করছি। ২০ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা খরচ হবে।

পলাশের কথা কথামত স্ত্রীকে সিডিএম হসপিটালে নিয়ে যাওয়ারা সাথে সাথে কর্মরত ওটি ইনচার্জ রবিউল দ্রুত অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান এবং সিজার সম্পন্ন হয়। তারপর রাত ১১টার দিকে সেখানকার নার্স মোমিনুলের শিশুকে তার কোলে দেয়। কিছুক্ষণ পর নার্স এসে তার কাছ থেকে শিশুকে নিয়ে যান। শিশুকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন, জানতে চাইলে নার্স জানান, শিশুর ওজন কম, তাই এন.আই.সি.ইউতে রাখতে হবে সেখানে নিয়ে যাচ্ছি।
সিজারের ২য় দিন পলাশ মোমিনুলকে জানায়, আপনার স্ত্রী ও ছেলেকে দ্রুত রিলিজ নিতে হবে। তা না হলে আপনার অনেক টাকা বিল আসবে। কারণ এখানে বিল অনেক বেশি।

এরই প্রেক্ষিতে গত ২৬ এপ্রিল মোমিনুল তার স্ত্রীকে রিলিজ নেয়ার সময় হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় ৭৪ হাজার টাকা বিল। এতে মোমিনুল ইসলাম চরম বেকায়দায় পড়ে যান। তাৎক্ষণিক এতো টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয় বলেও তিনি পরিচিত পলাশ জানান। কিন্তু পলাশ তাকে তাড়াতাড়ি বিল পরিশোধের জন্য চাপ দেয়। উপায় না পেয়ে মোমিনুল ধারদেনা করে সিডিএম’র ৭৪ হাজার টাকার বিল পরিশোধ করেন। বিষয়টি তদন্ত কওে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি লিখিত অভিযোগ করেন।

এব্যাপারে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সিডিএম হাসপাতালের বিল অনেক বেশি জেনেও সেখানে যাওয়া তাদের ঠিক হয়নি। অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।