নগরীর শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ির লকডাউন প্রত্যাহার

রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ি ‘লকডাউন’ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সন্দেহভাজন পুলিশ কর্মকর্তার নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় ফাঁড়িটি খুলে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কোয়ারেন্টিনে থাকা এই ফাঁড়ির কর্মরত ১৮ জন সদস্য কর্মস্থলে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তারা কাজে যোগ দেন।

নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন বলেন, গত ২৬ মে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একই সঙ্গে তার পরিবারের চার সদস্যেরও নমুনা পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়। ২৭ মে ল্যাবে শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও তার পরিবারের চার সদস্যের ফলাফল নেগেটিভ আসে। তাই পরদিন থেকে ফাঁড়ির স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু হয়েছে।

জানা যায়, গত ২৩ মে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মিশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোশারফ হোসেন নামের একজন এসআইয়ের মৃত্যু হয়। নওগায় কর্তব্যরত সেই এসআই মোশাররফ হোসেন ছিলেন শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমানের ভগ্নিপতি।

অনেকেই তার সংস্পর্শে এসেছেন। তাই শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ির মোট ১৮ জন সদস্যকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। পরে ২৭ মে ল্যাবে শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও তার পরিবারের চার সদস্যের ফলাফল নেগেটিভ আসে। তাই পরদিন থেকে ফাঁড়ির স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু হয়েছে।