নগরীতে পাবলিক প্লেসে সিগারেট বিক্রি করা যাবে না: বলুবুল

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজাশাহীকে ধুমপান মুক্ত শহর গড়তে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেয়া হবে। আগামি জুনে রাজশাহী সিটি করপোরেশন থেকে যেসকল ট্রেড লাইসেন্স বিলি করা হবে তাতে শর্ত দেয়া হবে। পাবলিক প্লেসে সিগারেট বিক্রি করা যাবে না। শুধু তাইনা পাবলিক প্লেসে সিগারেটের প্যাকেট উন্মক্ত করা যাবে না।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর মাষ্টারশেফ রেষ্টুরেন্টে রাজশাহীতে তামাক নিয়ন্ত্রন আইনের প্রায়োগিক অবস্থা শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, তামার উৎপাদন কারীদের প্রতি সরকারের নজর থাকতে হবে। তামাকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন করতে হলে তামাক যেন কোন ব্যবসায়ীদের ঋণ না দেয়া হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা কোন ভাবেই ধুমপানের সাথে জড়িত হতে না পারে। সে ক্ষেত্রে দোকানদার, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সচেতন করতে হবে।

এ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি) এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র -৩ নুরুন্নাহার বেগমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, দৈনিক সোনালী সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিক কল্যান তহবিলের সভাপতি লিয়াকত আলী এবং সানশাইন পত্রিকার সম্পাদক তসিকুল ইসলাম বকুল। এছাড়া বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও এসিডির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে তামাক নিয়ন্ত্রনের উপর প্রজেক্ট উপস্থাপন করেন এসিডির প্রকল্প সমন্বয়ক এহসানুল আমিন ইমন।

এ সময় বক্তারা বলেন, রাজশাহীতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োগ তেমন না হওয়ায় তামাকজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে চলেছে, ফলে এখানে নাগরিকদের শ্বাসকষ্ট,হাপানি, যক্ষার প্রাদুর্ভাবও বেশি। নগরীর পাবলিক প্লেসে তথা জনবহুল এলাকায় ধুমপানের কারণে একদিকে যেমন স্বাস্থ্য ক্ষতি বাড়ছে।

অন্যদিকে রাজশাহীকে ক্লিনসিটি গড়ার যে কার্যক্রম তা ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে দেশে ১ লক্ষের অধিক মানুষ তামাকজনিত রোগে মৃত্যূ বরণ করেন যা মৃত্যূর সবচেয়ে বড় কারণ। এই মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে সকল জনবহুল শহরকে তামাকমুক্ত করা জরুরী। এতে করে তামাক সেবীর সংখ্যা কমবে অন্যদিকে পরোক্ষ ধূমপান থেকে অধূমপায়ীরা রক্ষা পাবে।

বক্তরা বলেন, ধূমপানের ক্ষতিকর দিক আমরা সবাই জানি কিন্তু তা নিয়ন্ত্রনের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়না। এর জন্য জনসচেতনা ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে ধূমপান নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হতে পারে। পাবলিক প্লেসে ধূমপান না করার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া কম বয়সীদের কাছে সিগারেট বিক্রি করলে প্রয়োজনে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার পদক্ষেপ নিতে হবে। তামাক উদপাদনকারীদের বিরুদ্ধে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। যেসব স্থানে জায়গায় তামাকের চাষ হয় সেখানকার কৃষকদের অন্য লাভজনক ফসল চাষে আগ্রহী করে তুলতে হবে।

 

স/শ