মঙ্গলবার , ২১ মে ২০১৯ | ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

নগরীতে জমি নিয়ে উত্তেজনা

Paris
মে ২১, ২০১৯ ১০:৪৩ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে  ইটের সীমানা প্রাচীর ভেঙে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার রাতে নগরীর মেহেরচন্ডী উত্তরপাড়া এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, রাজশাহী সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রাভাষক শাহিনুল ইসলাম ও তার চাচাতো ভাই ব্যবসায়ি আশরাফ আলী ২০১৫ সালে এ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানে কাছ থেকে মেহেরচন্ডী উত্তরপাড়া এলাকায়  ৫কাটা জমি কিনেন। জমির কিছু অংশ অধিগ্রহন করে রাস্তা বের হওয়ার পর নিজ নিজ জমি বুঝিয়ে নিয়ে গত তিন মাসে জমির চারপাশে প্রায় ৭ফুট উঁচু করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন তার। হঠাৎ গতকাল সোমাবার (২০ মে) রাতের আঁধারে কে বা কারা জমিটির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে।

এনিয়ে, শাহিনুল ইসলাম ও তার চাচাতো ভাই আশরাফ আলী অভিযোগ করে বলেন, ২০১৫ সালে এ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানে কাছ থেকে মেহেরচন্ডী উত্তরপাড়া এলাকায়  ৫কাটা জমি ক্রয় করা হয়। এরপর এ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান মারা গেলে তার ভাতিজা বজলুর রহমান বিভিন্ন সময় জমি নিয়ে ঝামেলা করে আসছে। এবছরই তিনি প্রিএমশন মামলা করে জমির অধিকার নিতে চাইছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় তিনি আমাদের হুমকি প্রদান করে আসছেন। এরমাঝেই আমরা আর গত তিন মাস আগে  আমাদের জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করি। কিন্তু (২০মে)রাতে আঁধারে বজলুর রহমানের নির্দেশে কিছু লোক এসে তা ভেঙে ফেলে জমি দখলের চেষ্টা করে। ফলে আইনগত বৈধতা থাকা সত্বেও বর্তমানে  জায়গাটি নিয়ে নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছি। এনিয়ে চন্দ্রিমান থানা ও ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এদিকে অভিযুক্ত বজলুর রহমান সীমানা প্রাচীর ভাঙার বিষয়টি অস্বিকার করে বলেন, জামিতে ১৯৯৬ সাল থেকে আমার ঘর আছে। অসুস্থ থাকাকালিন অল্পকিছু টাকার বিনিময়ে আমার চাচা জিল্লুর রহমানকে জালিয়াতি করে শাহিনুল ও আশরাফ জমিটি লিখে নেয়। পরে চাচা মারা যাওয়ার মাস তিনেক আগে বিষয়টি তাকে জানালো হলে তিনি জানেন না তাই বলেন। এনিয়ে চাচা ও চাচাতো বোনরা আমাকে আইনের মাধ্যমে জমিটি উদ্ধার করতে পরামর্শ দেন। এরপর জমিটির দলিল তুলে দেখা যায় তার মূল্য ১০লাখ টাকা করা আছে। আর সে অনুযায়ী ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমাদিয়ে আইনের আশ্রয় নেয়। বর্তমানে বিভন্ন সময় বিভিন্ন ভবে প্রভা্বশালীদের দিয়ে শালিশ করানোর চেষ্ঠা করছে তারা। আর তাতে ব্যর্থ হয়ে বিষয়টি ঘোলা করতে তাদেরই কেউ সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে।

সম্ভবত ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। আমার বাসায় সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে সেখানে যারা ভেঙেছে তাদের তাদের ছবি আছে। তবে তাদের আমি চিনি না বলেও তিনি জানান।

স/অ

 

 

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর