নগরীতে কৃমি নিয়ন্ত্রন সপ্তাহে পালনে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল ও কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় নগরীতে কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ ও ক্ষুদে ডাক্তার কর্তৃক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম পালন করবে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক)। আগামী ১ থেকে ৭ অক্টোবর এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। আজ সকালে নগরভবন জিআইজেড সভা কক্ষে এ উপলক্ষে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক স্বাস্থ্য কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা: গোপেন্দ্রনাথ আচার্য। সভায় বক্তারা জানান, জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। শিশুদের রোগমুক্ত, সুস্থ্য সবলভাবে গড়ে তুলতে তাঁদের স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়ে জোর দিতে হবে। এজন্য অভিভাবক ও শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, কোন শিশু যেন কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়া থেকে বাদ না পড়ে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। এ ট্যাবলেট খাওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তারা জানান ভবিষ্যত প্রজন্মকে স্স্থ্যু ও সবলভাবে গড়ে তুলতে এর কোন বিকল্প নেই। এজন্য কোন ধরনের গুজবে কান না দিয়ে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর বিষয়ে শিশুদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এজন্য গণমাধ্যমকে সক্রিয়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সচিব রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ নাজনীন পারভীন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লাইলা বানু। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহন করেন থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদ হাসান, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ড. সাবরিনা আনাম।
সভায় স্বাগত বক্তব্য ও এ কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: এফ.এ.এম আঞ্জুমান আরা বেগম।
সভায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান সরদার, পরিবার পরিকল্পনার মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সাদিয়া আফরিন, এফপিএবি, এস ও এস শিশু পল্লী, খ্রিষ্টান মিশন হাসপাতাল, রিক, পিএসটিসি, তিলোত্তমা, টিএমএসএস, আঞ্চলিক তথ্য অফিসসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১ থেকে ৭ অক্টোবর কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহে এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মাদ্রাসা, মক্তব ও এতিমখানাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এ কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী বিদ্যালয়গামী ও একই বয়সী বিদ্যালয় বহির্ভূত, ঝরে পড়া, পথ শিশু, কর্মজীবি শিশুসহ সকল শিশুকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।

নগরীর ৪শ ৬৬টি বিদ্যালয়ের ৯৮ হাজার ৩শ ৯৭জন ছাত্র-ছাত্রীকে একটি করে কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। ফাইলোরিয়াসিস নির্মূল ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর সহযোগিতায় রাসিকের আয়োজনে এ এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

স/আন