নওগাঁ-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান

কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র ৪ দিন আগে নওগাঁর নিয়ামতপুর-পোরশা-সাপাহার উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-১ আসনে উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে উচ্চ আদালতের নির্দেশের কাগজপত্র যাচাই পূর্বক নির্বাচন কমিশনের অনুমতিক্রমে নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান নওগাঁ-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী ডা. ছালেক চৌধুরীর প্রার্থীতা বাতিল করে তার স্থলে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে বিএনপির বৈধ প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষনা করেছেন।

নওগাঁ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহিনুর রহমান প্রামানিক জানান, বিএনপির বৈধ প্রার্থী দাবী করে মো. মোস্তাফিজুর রহমান উচ্চ আদালতে রিট করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানী শেষে ধানের শীষের বৈধ প্রার্থী হিসেবে মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে ধানের শীষ প্রতিক দেওয়ার নির্দেশ দেন।

গত ২৩ তারিখ উচ্চ আদালতের নির্দেশের নথিপত্র নওগাঁ রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে পৌছায়। পরে নথিপত্র যাচাই পূর্বক এবং নির্বাচন কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে মঙ্গলবার রাতে পূর্বের প্রার্থী ডা. ছালেক চৌধুরীর প্রার্থীতা বাতিল করে তার স্থলে বিএনপির মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে ধানের শীষের বৈধ প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষনা করা হয়।

তিনি বলেন, এখন নওগাঁ-১ আসনের বিএনপির বৈধ প্রার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, তার অনুকুলে ইতিমধ্যে ধানের শীষ প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা করে উচ্চ আদালতের নির্দেশে আমরা ইতিমধ্যে নওগাঁ-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নাম ঘোষনা করেছি এবং নওগাঁ-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী পরিবর্তন হওয়ায় ব্যালট পেপার পরিবর্তন করার জন্য নির্বাচন কমিশন বরাবর অনুরোধ পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমাকে বিএনপির হাই কমান্ড দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার পর আমি নির্ধারিত সময়ে দলীয় সমর্থনের প্রত্যয়ন পত্র নওগাঁর রিটানিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়ে এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী কাজ শুরু করি। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে শেষ সময়ে আমার পরিবর্তে নওগাঁ-১ আসনে ডা. ছালেক চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয়া হয়।

এ বিষয়টি নিয়ে আমি উচ্চ আদালতে প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার আশায় রিট করি। গত ২০ ডিসেম্বর শুনানী শেষে উচ্চ আদালত আমাকে ধানের শীষ প্রতিক দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে আমি এখন ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে নওগাঁর নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহার উপজেলা এলাকায় বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গণসংযোগ, প্রচার-প্রচারণা, উঠান বৈঠকসহ নির্বাচনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
স/শ