নওগাঁ জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক,নওগাঁ:
নওগাঁ জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নে ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদ বহাল রেখে বাকীপদগুলোতে নির্বাচন দেওয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সভাপতি পদে পদপ্রার্থী ও অন্যান্য পদপ্রার্থীরা। শনিবার বেলা ১১টায় নওগাঁ শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নে সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক।

 
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৪ নভেম্বর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গৃহিত নির্বাচন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহনের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুসরন করা হয়নি। সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন সংগঠনের মৌলিক স্বার্থেরও পরিপন্থি। নেতৃবৃন্দ কৌশলে এমন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারেন না যা সংগঠনের গঠনতন্ত্রে বর্ণিত অধিকার থেকে অন্যান্য সদস্যরা বঞ্চিত হতে পারে।

 
গঠনতন্ত্রে বর্নিত ১১ এবং ২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যে প্রক্রিয়া নেতৃত্ব নির্বাচনের বিধান আছে এবার সাধারন সভায় সে প্রক্রিয়া অনুসরন করা হয়নি। ২৩ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা আছে নির্বাহী কমিটির মেয়াদ তিন বছর পূর্ণ হওয়ার আগেইগোপন ব্যালটে কর্মকর্তা নির্বাচন করতে হবে।

 
কিন্তু সে মেয়াদ গত ৩০ নভেম্বর শেষ হলেও পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটিও যথাযথভাবে গঠন করা হয়নি। সমস্ত গঠনতন্ত্রে কোন জায়গায় এমন কোন বিধান নেই যা সংগঠনের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। সাধারন সভায় এমন কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না যা সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচন ছাড়াই আগের ব্যক্তিরা ওই পদে বহাল থাকতে পারবেন। এ ধরনের সিদ্ধান্ত সাধারন শ্রমিক ও শ্রম পরিপন্থি। এ ধরনের সিদ্ধান্ত সংগঠনের স্বেচ্ছাচারিতা ও একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।

 
গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত নির্বাচন ও কমিটি গঠন সংক্রান্ত বিধান অনুসারে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ সকল পদে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করা এবং এসব অগঠনতান্ত্রিক ও অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান। এসময় তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কতিপয় কিছু ব্যাক্তি সন্ত্রাসি কায়দায় সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চ ও চেয়ার, টেবিল ভাংচুর করে তা পন্ড করতে চেয়েছিল।

 
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সহ-সাধারন সম্পাদক আজাহারুল ইসলাম, এসএম মতিউজ্জামান, ময়েন উদ্দিন, আব্দুল মালেকসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

 
সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, আমাদের সাধারন সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক সবকাজ করেছি। নোমিনেশন বিক্রি শুরু হয়েছে। সারা জেলার প্রায় সাড়ে ৫হাজার শ্রমিকরা আমাদের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক করে বাকী ১৯ পদের জন্য নির্বাচন করার অনুরোধ করেন। বরং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, বহিরাগত কিছু শ্রমিক তারা নিয়ে এসে হামলা ও ভাংচুর করে এবং গাড়ী চলাচল বন্ধ করার পায়তারা করে।
স/শ