নওগাঁয় সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে হত্যা

নওগাঁ প্রতিনিধি:


নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় সন্তানসম্ভবা তারা মনিকে (৩৫) হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের কানইল গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত তারা মনি ওই গ্রামের ভুট্টু পাহানের স্ত্রী। এ ঘটনায় তারা মনির ভাই শুক্কুর পাহান বাদী হয়ে ভুট্টুকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী উপজেলার শিবপুর গ্রামের তারা মনির সঙ্গে নিয়াতপুর উপজেলার কানইল গ্রামের ভুট্টু পাহানের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই ছেলে রয়েছে। ভুট্টু পাহান প্রায় সময় নেশাগ্রস্থ অবস্থায় স্ত্রী তারা মনিকে মারধর করত।

স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে মাঝে-মধ্যেই বাবার বাড়ি চলে যেতেন তারা মনি। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। ভুট্টু ভালো হয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে আবার স্বামীর ঘরে ফিরে আসতেন তারা মনি। তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এ ধরনের ঝগড়া-বিবাদ প্রায়ই লেগে থাকত।

ঘটনার দিন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আবারও নেশা করে বাড়িতে এসে দরজা বন্ধ করে সন্তানসম্ভবা তারা মনিকে মারধর করেন ভুট্টু। স্বামীর বেধড়ক পিটুনিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। তারা মনির খুনের বিষয়টি জানাজানি হলে বুধবার সকালে পুলিশে খবর দেয় গ্রামবাসী।

নিয়ামতপুর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, নিহতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে নির্যাতন করেই ওই গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী ভুট্টু পাহানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।

স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে ভুট্টু পাহানকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।