নওগাঁয় বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল দুই শিক্ষার্থী , দুই বর শ্রীঘরে

নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ:

নওগাঁর নিয়ামত পুরে অল্পের জন্য বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল ৭ম শ্রেণির রাজিয়া ও ৮ম শ্রেণির ছাত্রী শাপলা। ২টি বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে নিয়ামত পুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় দুই বর কে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ অদালত।

 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার রামকুড়া গ্রামেরআব্দুল মোতালেব হোসেনের ছেলে সোহেলরানা (২২) ও মান্দা উপজেলার চককেসব গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে ফজলে রাব্বি (২২) ।

 

থানা সূত্রে জানাযায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিয়ামত পুর থানার অফিসার ইন চার্জ রফিকুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মুকুলসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে উপজেলার রামকুড়া গ্রামেরআব্দুল মোতালেব হোসেনের ছেলে সোহেল রানা (২২) কে বাল্য বিয়ে করার অপরাধে আটক করে। সোহেল রানা উপজেলার বরিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের কন্যা বরিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী শাপলার সাথে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।

 

অপর আরেকটি অভিযানে মান্দা উপজেলার চককেসব গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে ফজলে রাব্বি (২২) কে একই অপরাধে আটক করা হয়। ফজলে রাব্বি নিয়ামত পুর উপজেলার আশেকপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের কন্যা আশেকপুর মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী রাজিয়া খাতুনের সাথে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।

 
সোহেল রানা ও ফজলে রাব্বিকে আটক করে তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও  সহকারী কমিশনার (ভুমি) শাহিন রেজার কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে উভয়কে ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

 
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) শাহিন রেজা সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, এই প্রথম নিয়ামতপুর উপজেলায় বাল্য বিয়ের জন্য কাউকে সাজা প্রদান করা হলো। এটা একটা সতর্ক বাণী, বাল্য বিবাহ কোনভাবে মেনে নেওয়া হবেনা।

 
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম খান বলেন, বিয়ের আসর থেকে বরকে তুলে আনা হয়। বাল্য বিয়ে প্রদান কারী অভিভাবকদের মনে করিয়ে দিতে চাই, আপনারা আপনাদের মেয়েদের ১৮ বছরের আগে কোন ক্রমেই বিয়ে দিবেননা।

স/অ