নওগাঁয় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে একুশের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক,নওগাঁ:
নওগাঁয় একুশের আলোচনা সভা, ভাষা পদক, রজত সন্মাননা, বাউল সঙ্গীত পরিবেশন ও পুরস্কারের মধ্যে দিয়ে ৫ দিনব্যাপী অমর একুশের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়েছে। দেশ ও সমাজে বিশেষ অবদান রাখায় সমাজসেবী এ.কে.এম মোরশেদকে (মরনোত্তর) অনুষ্ঠানে ‘একুশে ভাষা’ পদক প্রদান করা হয়।

স্থানীয় সামাজিক সংগঠন একুশে উদযাপন পরিষদ নওগাঁর উদ্যোগে গত বুধবার সন্ধ্যায় নওগাঁ সমবায় চত্বরে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নওগাঁ বিএমসি সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাহফিজার রহমান বাবু।

পরিষদের ‘রজত জয়ন্তী’ সন্মাননা পাদান করা হয় পরিষদ প্রতিষ্ঠাতাকালীন আহবায়ক নওগাঁ সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ (অব.) মাহফুজুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক ডা. জসিম উদ্দিন মৃধা, জাহিদ রাব্বানী রশিদ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের আহবায়ক অ্যাড. শহীদ হাসান সিদ্দিকী স্বপন। এ সময় অন্যের মধ্যে পরিষদের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ময়নুল হক মুকুল, জাহিদ রাব্বানী রশিদ, আদমদিঘী কলেজের অধ্যপক শওকত আলী, জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ নওগাঁর সভাপতি হাবিবুর রহমান চৌধুরী, পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক আতিক রহমান, আবু হেনা মোস্তাফা কামাল, সদস্য সচিব সাংবাদিক তন্ময় ভৌমিকসহ অন্যরা।

সদস্য সচিব তন্ময় ভৌমিক জানান, একুশ মানে মাথা নত না করা’ শ্লোগানকে সামনে রেখে পরিষদের রজত জয়ন্তী উপলক্ষে নওগাঁয় ৫ দিন ব্যাপী অমর একুশের কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বর্ণমালা লিখনের মধ্যে দিয়ে এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল, বর্ণমালা লিখন, ড. জোহা দিবসে আলোচনা সভা, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ভাষা দিবসের গান, নৃত্যানুষ্ঠান, একুশের আলোচনা সভা, আদিবাসিদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বাউল গানসহ বিভিন্ন কর্মসূচী। এ ছাড়াও বইমালা, নাগর দোলা ও বিভিন্ন পণ্যের সমাহার নিয়ে একুশে মেলার আয়োজন করা হয়।

পরিষদের আহবায়ক অ্যাড. শহীদ হাসান সিদ্দিকী স্বপন জানান, ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন বাঙ্গালী মুক্তির চেতনাকে উজ্জীবিত করেছে। ধারাবাহিকত পথ পরিক্রমায় একুশে ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত। তিনি আরো বলেন, ১৯৯৪ সাল থেকে আজ অবধি একুশে উদযাপন পরিষদ নওগাঁ প্রগতিশীল-অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনার মানুষদের সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে আরো বড় পরিসরে আয়োজন করা হবে বলে তিনি আরো জানান।

একুশের আলোচনা সভা শেষে বর্ণমালা লিখন, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, ভাষার গান ও নৃত্যানুষ্ঠান প্রতিয়োগিতায় অংশ গ্রহণকারিদের মধ্যে বিজয়ীদের ক্রেষ্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

স/শ