নওগাঁয় ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ৭০ টাকা

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

নওগাঁয় সব ধরনের মুরগির দাম কমেছে। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে কমেছে ৭০-৭৫ টাকা। মুরগির দাম কমায় বাজারে সরবরাহ যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে বিক্রি। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

নওগাঁ পৌর মুরগি বাজার সূত্রে জানা যায়, ১৫ দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৭০-৭৫ টাকা কমে ১৭৫-১৮০ টাকা, বিবি-৩ জাতের মুরগি ১০ টাকা কমে ২৮০ টাকা, সোনালি ২০ টাকা কমে ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৩০ টাকা কমে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যারিস ও পাকিস্তান জাতের মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকায়।

কিছুদিন আগেও সব ধরনের মুরগির দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। দাম বেশি থাকায় ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠেছিল। ক্রয়ক্ষমতার বাইরে থাকায় অনেকে মুরগি কেনা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে বাজার কিছুটা কমে আসায় স্বস্তি ফিরেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কাছে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বেড়েছে।

ক্রেতা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘সপ্তাহে একটি মুরগি কিনে খেতে পারতাম। মাঝখানে মুরগির দাম বেশি হওয়ায় কেনা অসম্ভব ছিল। এখন দাম কমে আসায় অনেকটা সুবিধা হয়েছে। তিন কেজি মুরগি কিনেছে ১৭৫ টাকা কেজি হিসেবে। দাম কম থাকলে সবার জন্যই সুবিধা হয়।’

খুচরা মুরগি ব্যবসায়ী আমিজার রহমান বলেন, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৭০-৭৫ টাকা কমে ১৭৫-১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা কিছুদিন আগেও ২৫০-২৬০ টাকা কেজি ছিল।

নওগাঁ পৌর মুরগি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইউনুস আলী বাবু বলেন, মুরগির দাম কমে আসায় কয়েকদিন ধরে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। বেচাকেনাও বাড়ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মহির উদ্দিন বলেন, জেলায় মাংসের চাহিদা এক লাখ ২৭ হাজার মেট্রিক টন। এর বিপরীতে উৎপাদন হয় প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন। জেলায় সোনালি, লেয়ার ও ব্রয়লার মিলিয়ে প্রায় চার হাজার ৪০০টি মুরগির খামার রয়েছে। স্থানীয় আমিষের চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।