নওগাঁয় পিকআপ এর চাকায় পৃষ্ট হয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু


নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁয় পিকআপ এর চাকায় পৃষ্ট হয়ে আনসার সদস্যের দম্পতি মারা গেছে। এ ঘটনায় তাদের ৫ বছরের ছেলে জুনাইদ ইসলাম বেঁচে যায়। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় নওগাঁ সদর উপজেলার সাহাপুরের কানাই ডাক্তারের মোড় (নওগাঁ-সান্তাহার সড়ক) এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত আনসার সদস্য এনামুল হক (৪০) জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রাইকালি গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে এবং তার স্ত্রী বৃষ্টি বেগম (৩২)।

স্থানীয়রা জানান, আনসার সদস্য এনামুল হক মোটরসাইকেল যোগে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বগুড়ার সান্তাহারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলার সাহাপুরের কানাই ডাক্তারের মোড় এলাকায় দুই মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে দুই মোটরসাইকেলের চারজন আরোহী রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে। তবে সান্তাহার অভিমুখি একটি পিকআপের চাকায় আনসার সদস্য এনামুল হক ও স্ত্রী বৃষ্টি বেগমের মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই স্বামী-স্ত্রী মারা যান।

তবে তাদের সন্তান জুনাইদ ইসলাম বেঁচে যায়। পরে নওগাঁ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নিহতের উদ্ধার করে এবং আহত শিশু জুনাইদকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। তবে অপর মোটরসাইকেলের আরোহীর নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় বাসীন্দা আরমান হোসেন বলেন- নিহতরা মোটরসাইকেল যোগে তিনজন সান্তাহারের দিকে যাচ্ছিল। তবে সান্তাহারের দিক থেকে অপর একটি মোটরসাইকেল এসে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই মোটরসাইলের চারজন রাস্তার ছিটকে পড়ে। তবে নওগাঁ থেকে সান্তাহার অভিমুখী দ্রুতগতির একটি পিকপাক তাদের চাপা দিলে মাথা থেতলে যায়। এতে ঘটনা স্থলেই স্বামী-স্ত্রী মারা যান।

নওগাঁ জেলা আনসার কমান্ড্যান্ড রাফিউদ্দিন জাকারিয়া বলেন- নিহত এনামুল হক আনসার সদস্য বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বগুড়া জেলা শাহজাহানপুর থানার অগ্রনী ব্যাংকে আনসার সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি আসছিলেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনানুগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে।

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক দূর্ঘটনায় নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।