ধামইরহাটে মাঘের বৃষ্টিতে ইটভাটায় ক্ষতি পাঁচ কোটি টাকা


ধামইরহাট প্রতিনিধি:

নওগাঁর ধামইরহাটে গত দুই দিন ধরে মাঘ মাসে আকস্মিক অবিরাম বৃষ্টিতে ইটভাটার ক্ষতি হয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। এছাড়া অসময়ে প্রবল বৃষ্টির কারণে রবি ফসল হিসেবে সরিষা ও আলুরও ক্ষতি হয়েছে। এতে হাজারো কৃষক ক্ষতিতে পড়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত থেমে থেমে ধামইরহাট উপজেলার উপর দিয়ে প্রবল ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে এলাকার ১৬টি ইটভাটার লক্ষ লক্ষ কাঁচা ইট পানিতে মিশে গিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। এসব পানিতে নষ্ট হওয়া ইট আবারো নতুন করে কচিয়ে ইট তৈরি করতে হবে। এতে এক ইট তৈরি করতে এখন দ্বিগুন খরচ করতে হবে। উপজেলার হরিতকীডাঙ্গায় অবস্থিত বিএবি ইটভাটায় ১০ লক্ষ,বিহারীনগরে এমবিবি ইটভাটায় ৭ লক্ষ এবং বস্তাবর চৌঘাট এলাকায় অবস্থিত বিসমিল্লাহ ইটভাটার ১৫ লক্ষ ইট বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে যায়। উপজেলার ১৬টি ইটভাটায় লক্ষ লক্ষ ইট নষ্ট হয়ে গেছে।

এছাড়া হাজার হাজার কৃষক তাদের রবি শস্য আলু ও সরিষা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। অবিরাম ভারী বৃষ্টির কারণে ক্ষেতের সরিষা মাটিতে ন্যূয়ে পড়েছে। অধিকাংশ সরিষা ও আলুর গাছগুলো বৃষ্টির পানিতে ক্ষেতের মধ্যে তলিয়ে যায়। অনেক কৃষক বিভিন্নভাবে জমিয়ে থাকা পানি বের করার চেষ্টা করেন। সরিষার চেয়ে আলুর ক্ষতি বেশি হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেতের আলু তোলার আগ মুর্হুতে এ বৃষ্টির কারণে অনেক আলুতে পচন ধরবে। এসব আলু সংরক্ষণ করা যাবে না।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,চলতি মওসুমে এবার ২হাজার ৫শত ৭০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল সরিষা এবং প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ করেছেন কৃষকরা। রোগ বালাই না থাকায় এবার আলু ও সরিষার ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। ধামইরহাট উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সেক্রেটারী মো.আখরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,আকস্মিক বৃষ্টিতে উপজেলার ১৬টি ইটভাটার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিটিভাটায় লক্ষ লক্ষ ইট বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। ১৬টি ভাটায় প্রায় ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার ইট নষ্ট হয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.তৌফিক আল জুবায়ের বলেন, এলাকার প্রায় ৬৫ ভাগ জমির আলু ইতোমধ্যে কৃষকগণ উত্তোলন করেছেন। যেসব আলু সংরক্ষণ করা হবে সেগুলো ক্ষেতে রয়েছে। তবে রোদ হলে ওসব আলুর তেমন ক্ষতি হবে না। এছাড়া সরিষার এবার বাম্পার ফলন হবে। তবে বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন পর জমি থেকে কাটামাড়াই শুরু হবে। বৃষ্টির কারণে মাড়াই কয়েক দিন পিছিয়ে যাবে।

এএইচ/এস