ধামইরহাটে আত্রাই নদীর বাঁধে ধস, ২৫ গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশংকা

ধামইরহাট  প্রতিনিধিঃ নওগাঁর ধামইরহাটের আত্রাই নদীর বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। প্রায় ১শত মিটার জায়গা ধসে যাওয়ায় যে কোন মূর্হুতে বাঁধ ভেঙ্গে যেতে পারে। এতে লোকালয় এবং হাজার হাজার আমন ধান ও সবজি খেত পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। সেই সাথে উপজেলা থেকে উপজেলা সড়ক আলাদা হওয়ায় আশংকা রয়েছে। এখন ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ ধারণ করতে পারে।

জানা গেছে,উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত রাঙ্গামাটি বাজার থেকে পত্নীতলা উপজেলা সদর পর্যন্ত আত্রাই নদীর পূর্ব পাশে ১০ ফুট চওড়া প্রায় ১০ কিলোমিটার বাঁধ সংলগ্ন পাকা রাস্তা রয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ স্বল্প সময়ে অতি সহজে পত্নীতলা উপজেলা দিয়ে জেলা সদরে যেতে পারে।

এ সড়ক নির্মাণ হওয়ায় আগে ওই এলাকার লোকজনকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার ঘুরে পত্নীতলায় যেতে হতো। তাছাড়া আত্রাই নদীর তীরবর্তী এলাকার হাজার হাজার কৃষক বিশেষ করে বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষিরা তাদের উৎপাদিত ফসল পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর হাট ও বাজারে প্রতিদিন বিক্রি করেন।

বর্তমানে আত্রাই নদীর রাঙ্গামাটি জামুরঘাট (লেবুতলা) এলাকার রাস্তা সংলগ্ন বাঁধের প্রায় ১শত মিটার এলাকার মাটি পানিতে ধসে গেছে। যে কোন মূর্হুতে বাঁধ কাম রাস্তা ভেঙ্গে যেতে পারে।

ছালিগ্রামের কৃষক মো.আব্দুল খালেক বলেন,এ বাঁধ ভেঙ্গে গেলে প্রায় ২০-২৫ গ্রামের বাড়ীঘর ও হাজার হাজার একর জমির আমন ধান ও সবজি খেত পানিতে তলিয়ে যেতে যাবে। সেই সাথে রাঙ্গামাটি থেকে পত্নীতলা উপজেলা সদরের যাওয়ারা রাস্তাটি বিছিন্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে।

এলজিইডির ধামইরহাট উপজেলা প্রকৌশলী মো.আলী হোসেন বলেন, আত্রাই নদীর বাঁধ ধসে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি ভেঙ্গে যেতে পারে। এতে এলাকার হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে। এলজিইডির পক্ষ থেকে রাস্তাটি প্রশস্তসহ পাকাকরণ করা হয়েছে।

খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। এক্ষুনি নদীর গতি প্রবাহের দিক পরিবর্তন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিয়ে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।

এব্যাপারে ওই এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জোয়ারদার মো.আসাদুল্লাহ বলেন,আমাদের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে নদীর পানি কমতে থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

তবে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে বাঁধটি রক্ষার প্রয়োজনীয় প্রস্ততি রয়েছে। এছাড়া ধামইরহাটের শীমুলতলী থেকে মহাদেবপুর উপজেলার কালনা পর্যন্ত প্রায় ২৭ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা পাস হয়েছে। বন্যার কারণে কাজ শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে। নদী ড্রেজিং করতে পারলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধন হবে।

স/আ.মি