‘ধর্ষণ শেষে হত্যার শিকার’ কিশোরীর ফেরা : জামিন মেলেনি দুই আসামির

নারায়ণগঞ্জে ‘স্কুলছাত্রী কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে’-এমন স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর  জিসা মণি (১৫) নামের ওই কিশোরীর জীবিত ফিরে আসার  ঘটনায় দুই আসামিকে জামিন দেননি আদালত।

আজ সোমবার (৩১ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এ ছাড়া জিসা মণির কথিত স্বামী ইকবালের রিমান্ড আবেদনও নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৪ জুলাই নিখোঁজ হয় নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার সরকারি প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী জিসা মণি। গত ১৭ জুলাই সদর মডেল থানায় জিডি করেন জিসা মণির বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন। এরপর ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন তিনি।

মামলায় বলা হয়, ‘আসামি আব্দুল্লাহ তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করত। সে গত ৪ জুলাই সন্ধ্যায় ফোনে ঠিকানা দিলে আমার মেয়ে ওই ঠিকানায় যায়। পরে তাকে অপহরণ করে আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা।’

পুলিশ মেয়েটির মায়ের মোবাইলের কললিস্ট চেক করে রকিবের সন্ধান পায়। রকিবের মোবাইল নম্বর দিয়ে আব্দুল্লাহ জিসার সঙ্গে যোগাযোগ করত। এ ঘটনায় রকিব, আব্দুল্লাহ ও নৌকার মাঝি খলিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত ৯ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ূন কবিরের পৃথক আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় আসামিরা। স্বীকারোক্তিতে তারা জানায়, জিসাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে শীতলক্ষ্যা নদীতে।

ওই জবানবন্দি দেওয়ার ১৪ দিন পর জিসা মণিকে জীবিত উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে উদ্ধারের পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে ঘটনার বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি শেষে জিসাকে তার বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়। আর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন পুলিশ সুপার।

আসামি আব্দুল্লাহ্ ও রকিবের পক্ষের আইনজীবী রোকনউদ্দিন জানান, আসামিরা তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন জানালে বিচারক তা নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ