সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: চার বছর আগে দিল্লিতে নির্ভয়া ধর্ষণের এক আসামি নাবালক হওয়ায় তিন বছরের শাস্তি হয়েছিল তার, যা নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল ভারতবাসী।
তার পরিপ্রেক্ষিতে আইন সংশোধন করে নারীর প্রতি সহিংসতার মতো গুরুতর অপরাধের জন্য ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীদেরও প্রাপ্তবয়স্ক ধরে বিচারের ব্যবস্থা করা হয়।
ওই সংশোধনীর আলোকে নয়াদিল্লির কিশোর আদালত ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো বিচার করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে; যা ভারতে এই প্রথম বলে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে।
এই কিশোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এক ছাত্রীকে স্কুল থেকে স্কুটারে তুলে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে জোর করে মদ খাইয়ে ধর্ষণ করেন। শুধু তাই নয়, ওই ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করে পরে ওই স্কুলছাত্রীকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করা হয়।
ওই তরুণী প্রথমে সহ্য করলেও কিছু দিন আগে অভিভাবকদের জানালে তারা থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ গ্রেপ্তার করে ওই কিশোরকে।
আনন্দবাজার জানায়, আসামির বয়স ১৮ বছরের কম বলে কয়েকদিন আগে মামলাটি বিচারের জন্য কিশোর আদালতে ওঠে। কিন্তু আদালত অপরাধের ধরন দেখে তা সাধারণ আদালতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানায়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন, এই ঘটনার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই নির্ভয়ার ছায়া বা সে রকম নৃশংসতা নেই। কিন্তু তা আমলে নেননি বিচারক।
আদালত প্রধান অরুল বর্মা বলেন, নির্ভয়ার ছায়া নেই ঠিকই, কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ পরিকল্পনামাফিক ঘটানো হয়েছে। এক নাবালকের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা করে এহেন অপরাধ ঘটানো যথেষ্ট ভাবার বিষয়। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
২০১২ সালে দিল্লিতে বাসে এক তরুণীকে (নির্ভয়া) ধর্ষণের ঘটনা ভারতজুড়ে তোলপাড় তুলেছিল। ওই মামলার এক আসামি নাবালক হওয়ায় আইনের সীমাবদ্ধতার কারণে তিন বছরের জেল খেটে বেরিয়ে যান তিনি।
এরপর জনগণের দাবির মুখে আইন সংশোধন করা হয় ২০১৫ সালে। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, অপরাধের গুরুত্ব বিচার করে প্রয়োজনে ১৬ বছর বা তার ঊর্ধ্বে থাকা নাবালকদের সাবালক হিসাবেই ধরা হবে।
সূত্র: বিডিনিউজ