ধরা পড়া অধিকাংশ ইলিশের পেটে এখনো ডিম

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ও অবরোধের নির্ধারিত সময় শেষ হলেও জেলেদের জালে ধরা পড়া তিন ভাগের দুই ভাগ ইলিশের পেটেই ডিম রয়েছে।

সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য।

সরকার ৭ অক্টোর থেকে ২৮ অক্টোবর এই ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ঘোষণা করলেও প্রজননের জন্য এ সময়টা যথেষ্ট নয় বলে দাবি মৎস্য সংশ্লিষ্টদের।

মৎস্য বিভাগ বলছে, ইলিশ সারা বছরই কমবেশি ডিম ছাড়ে। প্রজননের এ প্রধান মৌসুমে পঞ্চাশ ভাগ মাছ ডিম ছাড়ার সুযোগ পায়। তবে, এ বছর কি পরিমাণ মাছে ডিম ছেড়েছে তা আরো কিছুদিন পরে জানা সম্ভব হবে।

রায়েন্দা বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী মো. মিলন শেখ জানান, তিনি এ দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৪০ কেজির (এক মণ) মতো ইলিশ বিক্রি করেছেন। এর মধ্যে ৮-৯ শ গ্রাম ওজনের ইলিশের তিন ভাগের দুই ভাগের পেটেই ডিম দেখা গেছে।

তার দাদন দেওয়া জেলেরা স্থানীয় বলেশ্বর নদী থেকে এই মাছ ধরেছেন।

মৎস্য ব্যবসায়ী আবুল বাশার জানান, ২০ কেজির মতো ইলিশ বিক্রি করা হয়েছে। তার  বেশির ভাগ মাছের পেটে ডিম বোঝাই।

ওই মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, বলেশ্বরে মাছের পরিমাণ আগের চেয়ে কম। তাদের জেলেরা ২৮ অক্টোবর রাত ১২টার পর নদীতে জাল ফেলে সকালে জাল টেনে একেক নৌকায় ৬-৭ কেজি করে ডিমওয়ালা ইলিশ পেয়েছেন। আরো কিছুদিন সময় পেলে হয়তো এসব মাছ-ও ডিম ছাড়ত বলে তাদের ধারণা।

জাতীয় মৎস্য সমিতির শরণখোলা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, সকালে মাছের বাজারে গিয়ে অধিকাংশ ইলিশের পেটে ডিম দেখা গেছে। ২২ দিনেই সব মাছ ডিম ছাড়তে পারেনি। এ কারণে অবরোধের সময়সীমা আরো কিছুদিন বাড়ানো উচিত।

শরণখোলা উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায়  বলেন, প্রধান প্রজননের এ সময়টাতে ৫০ ভাগ মাছ ডিম ছাড়লেই অনেক বিশাল ব্যাপার। সারা বছরই কোনো না-কোনো ইলিশের পেটে ডিম থাকে। সে কারণে সারা বছরই মাছ ডিম ছাড়ে। যে সব মাছ ডিম ছেড়েছে সেগুলো গভীর সমুদ্রে চলে গেছে। কি পরিমাণ ইলিশ এ মৌসুমে ডিম ছেড়েছে সে হিসাব আরো কিছুদিন পর জানা যাবে।