দ: কোরীয় প্রেসিডেন্টের দপ্তরে ভায়াগ্রা: দেশ জুড়ে হৈচৈ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে প্রচুর সংখ্যায় ভায়াগ্রা কেনার খবর ফাঁস করেছেন একজন বিরোধী রাজনীতিক।

তিনি জানতে চেয়েছিলেন জননাঙ্গের অক্ষমতা চিকিৎসার জন্য যে ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয় প্রেসিডেন্টের দপ্তর কেন সেই ওষুধ কিনেছিল।

সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন ‘অলটিচিউড সিকনেস’ অর্থাৎ উচ্চতায় যারা অসুস্থ বোধ করেন তার ওষুধ হিসাবে সরকার এই ট্যাবলেট কিনেছিল। কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করা হয়নি।

রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মিস পাক তার ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু মিস চইকে প্রভাব খাটাতে দিয়েছেন এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এখন দুর্নীতির তদন্ত চলছে।

প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র বলেছেন পূর্ব আফ্রিকায় এক সরকারি সফরের আগে তাদের দপ্তর থেকে ৩৬৪টি ভায়াগ্রা ট্যাবলেট এবং আরও কিছু পিল কিনেছিল। যেগুলো ব্যবহার হয়নি বলে মুখপাত্রটি জানাচ্ছেন।_92622607__92619103_46a5a0fb-7057-4f0f-a5eb-3e57fa6fc68b

ভায়াগ্রা কেনার এই খবরে প্রেসিডেন্ট যে সরকার চালানোর ব্যাপারে কতটা অনভিজ্ঞ তা নিয়ে নানা কথা উঠছে। বহু কোরীয় বলছে মিস পাক একটা “অন্য দুনিয়ায়” বাস করেন। আর এ কারণে তার উপর পদত্যাগের জন্য রাজনৈতিক চাপ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এমন গুজবও বাজারে রটেছে যে মিস পাক এবং তার বন্ধু মিস চই কোনো ধরনের ধর্মবিশ্বাস ভিত্তিক গোপন আচার অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত।

মিস পাকের দীর্ঘদিনের বান্ধবী মিস চই, চই তাই-মিন নামে এক ব্যক্তির কন্যা, যিনি আপাতদৃষ্টিতে একজন ধর্মীয় নেতা, তবে তার ধর্মবিশ্বাস নিয়ে একটা ধোঁয়াশা রয়েছে।

মিস পাকের বাবা যিনি ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট, চই তাই-মিন ছিলেন তার বন্ধু।

_92622606__92618147_gettyimages-52010505

হৃদযন্ত্রের একটি অসুখ অ্যানজাইনার নতুন চিকিৎসা আবিষ্কার করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা ভায়াগ্রা আবিষ্কার করেন। যে ধমনী দিয়ে হৃদপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালিত হয়ে সেসব ধমনী সরু হয়ে গেলে অ্যানজাইনা হয়।

ওই পরীক্ষামূলক ড্রাগ অ্যানজাইনা সারাতে ব্যর্থ হয়, কিন্তু বিজ্ঞানীরা হঠাৎই আবিষ্কার করেন যে এই ড্রাগ যৌন অক্ষমতা সারাতে কার্যকর।

বিজ্ঞানীরা আরও দেখেন যে ফুসফুসের চাপ কমাতেও এই ড্রাগ উপকারী।

উচ্চতায় উঠলে অক্সিজেনের অভাবে অনেক সময় ফুসফুসে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং বিজ্ঞানীদের মতে ভায়াগ্রা রক্তচাপ কমিয়ে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।

কিন্তু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা যাই হোক্, মিস পাক যেভাবে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগে জড়িয়ে পড়েছেন, তাতে তার দপ্তরে প্রচুর সংখ্যায় ভায়াগ্রা পাওয়ার ঘটনা তার বিরুদ্ধে জনরোষ আরও উস্কে দেবে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

তার পদত্যাগের দাবিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হাজার হাজার মানুষ সোলে বিক্ষোভ করেছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা