সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার পর ইতালিতেও আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা দেড়শ’ ছাড়িয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ভেনিস কার্নিভাল। করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭ হাজারে দাঁড়িয়েছে। মারা গেছে ২ হাজার ৪৪২ জন।
এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিবেশী তুরস্ক, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং আর্মেনিয়া।
ইতালিতে করোনার প্রাদুর্ভাব ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ভেনিস কার্নিভাল। ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রোধে গুরুত্বপূর্ণ দুটি অঞ্চল মিলান ও ভেনিসে আরোপ করা হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় জনমানব শূন্য হয়ে পড়েছে ইরানের অনেক শহর। দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিবেশীরা।
দক্ষিণ কোরিয়াতেও আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এছাড়া ইসরাইলে দক্ষিণ কোরিয়ার ২শ’ নাগরিককে কোয়ারেন্টাইন করেছে তেল আবিব।
এখনো ভুতুড়ে শহর হয়ে আছে কোভিড নাইন্টিনের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান। দ্রুত সংক্রমিত হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তবে তার এ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, অনেক বড় সঙ্কট। প্রেসিডেন্ট শি জিংনপিং তার দেশকে খুব ভালোবাসেন। কঠোর পরিশ্রম করছেন তিনি। আশা করি সঙ্কটের সমাধান করতে পারবেন।
চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ব্যক্তির সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে। তবে অন্যান্য দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করার আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।