দৌলতদিয়ায় ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় ৭ শতাধিক গাড়ি

কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পর প্রথম দিন আজ বুধবার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে  সাত শতাধিক গাড়ি ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও গাড়িচালকরা।

সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়াঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৩০০ যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। এসব যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছে।

এ ছাড়া ঘাট এলাকায় যানজট কমাতে দৌলতদিয়া থেকে ১৩.৫ কিলোমিটার দূরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে আহলাদিপুর জুট মিল পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৪০০ পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে, যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে।

এদিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে যাত্রী এবং গাড়িবাহী ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় দৌলতিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চাপ বেড়েছে।

যাত্রী কাশেম বলেন, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ। যাত্রীবাহী বাসের চাপও রয়েছে। তাই এই রুটে এসে ভোগান্তিতে পড়েছি।

ট্রাকচালক আবেদ বলেন, রাতে ঘাটে আসলেও এখনো উঠতে পারিনি। লকডাউন ছুটে যাওয়ায় ট্রাকের সঙ্গে বাসও পারপার হচ্ছে। নদীতে স্রোত বেশি থাকায় ফেরি পারাপার হতে সময় লাগছে।

দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন বলেন, আগের ভাড়ায় যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। কোনো যাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না।

বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়াঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন (বাণিজ্য) বলেন, এ রুটে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তাই ঘাট এলাকায় এসে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাট এলাকা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

 

 

সূত্রঃ যুগান্তর