দেড় মাস পর করোনা পরীক্ষার সিরিয়াল পেলেন পোশাক শ্রমিক!

১৫ দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন রুমা আক্তার। তার শারীরিক অবস্থাও এখন উন্নতির দিকে। তবে তিনি জানেন না তার করোনা হয়েছে কি হয়নি। যে পোশাক কারখানায় তিনি কাজ করেন, সেখান থেকে বলা হয়েছে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে আগে। তারপর কাজে যোগ দেওয়া যাবে।

শনিবার সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষার লাইনে দাঁড়ান তিনি। তবে তাকে বলা হয়, দেড় মাস পর এসে নমুনা জমা দিতে।

একই অবস্থা ৩২ বছর বয়সী রনি আহমেদের। তিনি বুধবার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দিতে যান। তবে তাকে বলা হয় জুন মাসের ২৭ তারিখ তিনি নমুনা জমা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

জ্বর আর কাশির সমস্যায় ভুগছেন সাভারের আরেক পোশাক কারখানার শ্রমিক আনিসুর রহমান। বৃহস্পতিবার তিনি সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান করোনার নমুনা জমা দিতে। তবে তাকে বলা হয়, তার সিরিয়াল এক মাস পর। তখন এসে নমুনা জমা দিতে পারবেন তিনি।

২০ বছর বয়সী ওই শ্রমিক বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আমি তীব্র জ্বর আর কাশি নিয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। সেখানকার কর্মকর্তারা আমাকে জানান, আমার নাম জুনের ৩০ তারিখে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তখন আমি জানতে পারব আমি করোনায় আক্রান্ত হয়েছি কি না।

হতাশ হয়ে তিনি স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে যান এবং তার পরামর্শ মতো ওষুধ খাচ্ছেন বলে জানান।

আনিসুর রহমান বলেন, আমি জানি না আমার করোনা হয়েছে কিনা তারপরও আমি করোনায় যেসব ওষুধ খেতে হয় সেগুলো খাচ্ছি।

একই অভিযোগ করেন আরো অনেকে। তারা জানান, তাদের কারো সিরিয়াল কয়েক সপ্তাহ পর, কারো সিরিয়াল আরো পরে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, দিনে ১০ জনের নমুনা পরীক্ষা তারা করতে পারেন। এর বেশি পারেন না।

সাভার অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথমে নাম লিপিবদ্ধ করতে হয়। এখান থেকে বলে দেওয়া হয় কে কখন করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দিতে পারবেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, আমাদের পক্ষে দিনে ৬০টি নমুনা সংগ্রহের ববস্থা আছে। তারপরও আমরা দিনে ৯০টি নমুনা সংগ্রহ করছি মানুষের কষ্ট কমানোর জন্য। সাভারে দিনে ৫০০ নমুনা সংগ্রহ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছি।  সূত্র: দেশ রুপান্তর