দেশে ৩১ মে পর্যন্ত ৫০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন

Firefighters work the scene of a helicopter crash where former NBA star Kobe Bryant died, Sunday, Jan. 26, 2020, in Calabasas, Calif. (AP Photo/Mark J. Terrill)

এখন সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনোভাইরাসের সংক্রমণ। এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছয় হাজারের কাছাকাছি। আর মারা গেছেন দেড় শর বেশি মানুষ। বিশেষজ্ঞদের করা ভবিষ্যত প্রক্ষেপণের (প্রজেকশন) তথ্য বলছে, আগামী ৩১ মে পর্যন্ত ৪৮ থেকে ৫০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। আর মারা যেতে পারেন ৮০০ থেকে এক হাজার মানুষ।

গত ২১ এপ্রিল করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও প্রতিকারে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং পরবর্তী করণীয় বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিশেষজ্ঞদের এই প্রক্ষেপণের তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রক্ষেপণের প্রথমটি রক্ষণশীল। এই প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, আগামী ৩১ মে পর্যন্ত ৪৮ থেকে ৫০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। আর মারা যেতে পারেন প্রায় ৮০০ থেকে এক হাজার মানুষ। আরেকটি প্রক্ষেপণের তথ্য বলছে, এই আক্রান্তের সংখ্যা হতে পারে প্রায় এক লাখ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণী থেকে এই তথ্য জানা গেছে। ওই সভায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এই প্রক্ষেপণ বিবেচনায় রেখে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসার প্রস্তুতি গৃহীত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ চিকিৎসা নির্দেশনা অনুযায়ী আক্রান্তদের মধ্যে ২০ শতাংশ রোগীর হাসপাতালে সেবা প্রয়োজন পড়ে। সর্বোচ্চ সক্ষমতা অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় কোভিড-১৯ এর বিস্তার বিষয়ে প্রক্ষেপণ করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া যে সব হাসপাতাল করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য ঠিক করা হয়েছে সেগুলোতে চিকিৎসার সব সুবিধা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে। এসব হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের থাকা ও খাওয়ার সুব্যবস্থা করতে হবে।এ ছাড়াও সভায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এখন দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫ হাজার ৯১৩ জনে। আরা মোট মারা গেছেন ১৫২জন।

 

সুত্রঃ প্রথম আলো