দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে রাণীনগরে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত শিল্পীরা

সুকুমল কুমার প্রামানিক:
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারর্দীয় দুর্গা পূজা। আর মাত্র কিছু দিন বাঁকি দুর্গা পূজার। দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পূজা মন্ডপ গুলোতে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। এখন প্রায় ঘরে ঘরে চলছে আনন্দ উৎসব ও পূজার প্রস্ততি।

জানা গেছে, এ বছর রাণীনগর উপজেলায় ৫০টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা উৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে মন্দির গুলোতে চলছে ব্যাপক সাজসজ্জার পস্ততি। ইতি মধ্যে বেশির ভাগ মন্ডপ গুলোতে প্রতিমার কাঠামো মাটির কাজ প্রায় শেষ। শুরু হয়েছে রং তুলি ও সাজসজ্জার কাজও।

এ দিকে উপজেলার সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মা দেবী দুর্গাকে বরণ করতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। মায়ের জন্য তাদের এখন শুধু অপেক্ষার পালা। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী ৪ অক্টোবর শুরু হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শ্বারাদীয় দুর্গাপূজা এবং দশমী পূজা শেষে প্রতিমা বির্সজনের মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। রাণীনগরে স্থানীয় শিল্পী ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিল্পীরা এখানে এসে প্রতিমা তৈরি ও রং তুলির কাজ করছেন।

অন্যদিকে প্রতিমার পাশাপাশি পূজাকে জাঁকজমকপূর্ণ করে তুলতে বাদ্যযন্ত্র ঠিক ও তৈরী করতে ব্যস্ত সময় পার করছে ঢাক-ঢোল, কাঁশি, ও বাঁশির কারিগররা। এছাড়া দেবীকে স্বাগত জানাতে আনন্দ-উৎসব বিরাজ করছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সব ধরনের শ্রেণী পেশার নারী-পুরুষের মধ্যে। সব মিলিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে রাণীনগরের প্রতিটি পূজা মন্ডপে।

প্রতিমা শিল্পী নিরাঞ্জন চন্দ্র ও নিমাই চন্দ্র জানান, এবছর প্রতিমা তৈরি কাজ অনেক বেশি। মাটির কাজ শেষ হলেই শুরু হবে রং তুলির আঁচড়। প্রতিমাগুলো মনোমুগ্ধকর ও নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করছি আমরা। যেন সবার চেয়ে আমাদের প্রতিমা তৈরির কাজ ভালো হয়। আশা করছি র্নিধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে প্রতিমা তৈরীর কাজ।

রাণীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমল কৃষ্ণ সরকার জানান, এ বছর সার্বজনীন ও ব্যক্তিগত মিলিয়ে ৫০ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা শারদীয় দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে প্রায় সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আনন্দঘন ও জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পূজা শেষ হবে বলে তিনি আশা করছেন।

এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি জহুরুল হক বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারর্দীয় দুর্গা পূজা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্দির গুলোতে নিরাপত্তাসহ শান্তিপূর্ন ভাবে এ উৎসব সম্পূন্ন করার লক্ষে প্রায় সকল প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বছরের চাইতে এবার ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি মন্দিরে পুলিশের পাশাপাশি আনছার ও গ্রামপুলিশ মোতায়েন করা হবে। মন্ডপের সংখ্যা বাড়বে না কমবে সেটা এখনো বলা যাচ্ছে না।

পূজায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না বলে আশা করছেন তিনি।