দুর্গাপুরে ১৫ পরিবার পানিবন্দি, জমে থাকা পানিতে পানবরজসহ নষ্ট সবজি খেত

দুর্গাপুর প্রতিনিধি:


রাজশাহী দুর্গাপুর কিসমত মাড়িয়া গ্রামে ১৫ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেই সাথে পানের বরজসহ বেশ কিছু ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার প্রভাবশালী আব্দুল খালেক, জিয়ারুল ও আনোয়ার পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে পুকুর খননের ফলে এমন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।



ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী এর প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রকার শুফল পাচ্ছে না। তাঁরা নিজ উদ্যোগে শ্যালো মেশিন দ্বারা পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা চালিয়েও রক্ষা করতে পারছেন না তাদের বসত বাড়িসহ ফসল ক্ষেত।

জানা গেছে, কিসমত মাড়িয়া গ্রামে পানি প্রবাহের খাল বন্ধ করে ওই এলাকার জিয়ারুল, আনোয়ার ও রৈপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক গত ৪ মাস আগে কয়েকটি পুকুর খনন করেন। সেই সময় পুকুর খননকালে স্থানীয়রা পানি প্রবাহের ক্যানেল রাখতে বললেও তারা কোনপ্রকার কর্ণপাত করেননি। যার ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে দেখা দিয়েছে জলবদ্ধতা। গত কয়েকদিনে বৃষ্টিতে ওই গ্রামের প্রায় ১৫টি পরিবারের বসতভিটা ও পায়ে হেঁটে চলাচলের রাস্তায় পানি উঠে গেছে। নষ্ট হয়েছে পান বরজ, শসা,মরিচসহ অনেক সবজি ক্ষেত।

ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষি ওহাব আলী বলেন, পানি বের হওয়ার পথ বন্ধ করে পুকুর খনন করায় এই গ্রামের প্রায় ১০জন মানুষের পানবরজ ও সজবি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। তার দুইটি পানে বরজ ও মরিচ ক্ষেতও নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বর্তমানে ব্যাপক দুশ্চিন্তায় মধ্যে বসবাস করছেন। প্রতিকার চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যন হাসান ফারুক ইমাম (সুমন)এর কাছে বার বার গিয়েও কোনো সমাধান পাননি তিনি।

মাড়িয়া গ্রামের আকরাম আলী বলেন, আমার বয়সে আমি কখনো আমার পানের বরজে পানি উঠতে দেখিনি। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আমার পানেরবরজ ও শসা ক্ষেতে পানি ঢুকে গেছে। পানি ঢুকে পড়ায় অনেক পানের পড় মরে গেছে। এতে তার লাখ টাকার ক্ষতির আশষ্কা করছেন। এর জন্য তিনি পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে পুকুর খননকারিদের দায়ী করছেন। তিনি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের দাবি জানিয়েছেন।

উজ্জ্বল ইসলাম বলেন, আমার বাড়ির উঠানে পানি উঠে গিয়েছে। একই অবস্থা হয়েছে তার গ্রামের অন্তত ১৫টি বাড়িতে। তারা কোথাও গিয়েও সমাধার না পেয়ে অবশেষে বসত বাড়ি ও সবজি ক্ষেত রক্ষায় শ্যালো সেচ মেশিন দিয়ে পানি সেচ কাজ করে যাচ্ছেন। এতে করেও রক্ষা করা।

মাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাসান ফারুক ইমাম সুমন বলেন, পানি বের হওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় মুলত জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, জমে থাকা পানি কি ভানে নিষ্কাশন করা যায়। এদিকে পানি নিষ্কাশনের দাবি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।

স/আ