দুর্গাপুরে হঠাৎ করে সবজির দর বৃদ্ধি: বেড়ে গেছে মসলার দাম

গোলাম রসুল,দুর্গাপুর:
দুর্গাপুরে হঠাৎ করেই সবজিসহ বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে বিভিন্ন মসলার দাম। ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। গত এক সপ্তাহ আগ থেকে সবজি কিনে খাওয়াও যেন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। হঠাৎ সবজির মূল্য বৃদ্ধিকে ব্যবসায়ীদের কারসাজি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।

গত এক সপ্তাহের আগের তুলনায় দুর্গাপুরে সবজির কেজি প্রতি বেড়ে গেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। আবার অনেক ক্রেতারা বলছেন বর্তমানে শহরের তুলনায় দুর্গাপুর হাটবাজরে সবজি বিক্রি হচ্ছে অনেক চড়া দামে। পাইকাড়রা কম মূল্যে কৃষকের কাছ থেকে সবজি ক্রয় করে তারা নিজেরা সিন্ডিকেট তৈরি করে খুচরা বাজারে বিক্রি করছে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দরে। যার ফলে সজবি বাজারে এমন দু:অবস্থা বিরাজ করছে।

উপজেলার সিংগা হাট, কানপাড়া, আলীপুর, বেলঘরিয়া, আমগাছিসহ বেশ কয়েকটি হাট বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বাজার গুলোতে অসাভাবিক হারে বেড়ে গেছে সবজির দাম এম কি এক মুটো শাক কিনতে হলেও গুণতে হচ্ছে ২০টাকা।

বর্তমানে ওইসকল বাজারে বিক্রি হচ্ছে আলুর কেজি ২২ টাকা থেকে ২৫ টাকা, বরবটি ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা, পটল ৩৩ থেকে ৪০টাকা, কাকরোল ৩০ টাকা থেকে ৩৫টাকা, বেগুন ৫০ টাকা থেকে ৬০টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা থেকে ৩৫ ,পিঁপে ২৫ টাকা থেকে ৩০টাকা, মুলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা , লাউ ৩০ টাকা, চিংচিংঙ্গা ৩০ থেকে ৩৪ টাকা,কাঁচামরিচ ১৫০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা। এছাড়াও অন্যান্য শাক সবজির দামও বেড়ে গেছে দ্বিগুন।

হঠাৎ সবজি দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে কয়েজন খুচরা সবজি ব্যবসায়ী জানান, বিভিন্ন এলাকায় বন্যার কারনে সবজি খেত নষ্ট হয়ে গেছে। যার ফলে উৎপাদনের চেয়ে আমাদের এলাকায় সবজির ব্যাপক চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। এছাড়াও অন্য এলাকার পাইকাররা সবজি সরবারহ করার জন্য চড়া দমে সবজি ক্রয় করছেন। যার ফলে দামও বেড়েছে।

তবে পাইকারি ও খুচরা বাজারের দামের মধ্যে অনেক পার্থক্য কেন জানতে চাইলে খুচরা বিক্রেতারা নানা অজুহাত তুলে ধরে বলেন, সবাই যে দামে বেচাকিনা করছে আমরাও সেই দামে বেঁচা কিনা করছি।

সিংগা হাটে সবজি কিনতে আসা বহরমপুর গ্রামের ইউসুফ,তুহিন,কামালসহ কয়েকজন ক্রেতা জানান, ৩০ টাকার নিচে এক মুঠো শাকও মিলছে না। ৩০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই। এই অবস্থায় নিম্ন আয়ের মানুষের সবজি দিয়ে দুমুঠো ভাত খেয়ে বাঁচারও যেন সাধ্য নেই। তারা দিনে যে টাকা আয় করেন সে আয়ের টাকায় বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী শুধুমাত্র সামান্য শাক ছাড়া অন্যকোন তরকারিই ক্রয় করা সম্ভব হয় না। তাদের পক্ষে মাংশ, মাছ, ডাল, তেল, মশলাসহ অন্যকোন প্রয়োজনীয় পন্য ক্রয় করা মোটেও সম্ভব নয়, এছাড়াও চালের দাম বৃদ্ধি হওয়ার পরেও কমার কনো নাম গন্ধ নেই।

এদিকে ঈদুল আযাহা ঘনিয়ে আসতে না আসতেই ব্যাবসায়ীরা বাড়িয়ে দিয়েছে সকল প্রকার মসলার দামও। এলাচি, দারুচিনি,চিরতা,গোল মরিচ,পেস্তা, জাইফল, হলুদসহ বিভিন্ন প্রকার মসলার দাম কেজি প্রতি ১০০ থেকে শুরু করে ৮০০টাকা পযর্ন্ত বেড়ে গেছে। তবে বাজার মনিটরিং না থাকায় ইচ্ছে মত মূল্য বৃদ্ধি করছে ব্যবসায়ীরা এমটাই মনে করছেন ক্রেতারা।
স/শ