দুর্গাপুরে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশ সদস্যকে ফাঁসালো আরেক পুলিশ কর্মকর্তা!

দুর্গাপুর প্রতিনিধি:
রাজশাহী দুর্গাপুরে মিথ্যা মামলা দিয়ে জাকির হোসেন নামের এক পুলিশ সদস্যকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে পিবিআই পুলিশ পরির্দশক আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ১০ডিসেম্বর জাকিরের বাবা রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর ওই মামলার তদর্ন্ত দাবি করে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,২০১৮ সালের ৩মার্চ দুর্গাপুর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামে ২ দশমিক ৫ শতাংশ জমি নিয়ে জিল্লুর রহমান নামের এক ব্যাক্তির সাথে নামিজ উদ্দিনের বাগবিতান্ড হয়। এ ঘটনায় গত ২০১৮ সালের মার্চ মাসের ২৩ তারিখে রাজশাহী বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে জিল্লুর রহমান একটি মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত তদন্তের জন্য দুর্গাপুর থানায় পাঠান। দুর্গাপুর থানা গত ২০১৮ সালের মার্চ মাসের ২৫ তারিখে মামলাটি রোজু করেন। দুর্গাপুর থানায় মামলা নং ০৪/৩৫। দুর্গাপুর থানার পুলিশ পরির্দশক (এস আই) বদিউজ্জামান তদন্ত করেন এবং ঘটনার কোন সত্যতা না পেয়ে আদালতে তদর্ন্তের চূড়ান্ত রির্পোট পাঠান। পরে বাদি জিল্লুর রহমান আদালতে হাজির হয়ে পূর্ন তদন্তে জন্য আদালতে আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পূর্ণ তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর কাছে পাঠান। পরে পিবিআই মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ পরির্দশক আব্দুল মান্নানকে দায়িত্ব দেন।

মামলাটি তদন্ত সময় পিবিআই এর তদর্ন্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বাদির সাথে যোগসাজ করে অর্থের বিনিময়ে মিথ্যা তথ্য তুলে আসামিদের কাছে বেআইনি দাবি করে বসেন। তারপর থেকে আব্দুল মান্নান মামলাটি নিয়ে আসামিদের বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন। এমনকি আসামি নাজিমকে অফিসে ডেকে নিয়ে জমি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এমনকি বাদিকে আরো নগদ ১লাখ টাকা দিতে বলেন। এছাড়া মামলা থেকে কোন রক্ষা পাবেন না। তিনি আরো বলেন দ্রুত আপনি (নাজিম)কে জমি ছেড়ে দিবেন। কিন্তু আসামিরা তার প্রস্তাবে রাজি না হলে তার বড় ছেলে পুলিশ সদস্য (বর্তমানে র‌্যাব-২ কর্মরত) জাকিরকে ওই মামলায় আসামি করে আদালতে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন পাঠায়।

পুলিশ পরির্দশক আব্দুল মান্নানের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন অভিযোগের বিষয় আমার কিছু জানা নেই। তবে আাপনি কোন মামলার বিষয়ে বলছেন তা বুঝতে পারছিনা। আপনি আমার অফিসে আসেন বসে কথা হবে বলে ফোন রেখে দেন।

এদিকে, পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর বিশেষ পুলিশ সুপার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, এমন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে তদর্ন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স/অ