মৃত সুইপারের পেনসন আত্মসাৎ

দুর্গাপুরে দুই সরকারি কর্মচারিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মৃত এক মহিলা সুইপারের পেনশন আত্মসাতের অভিযোগে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার হিসাবরক্ষণ ও তথ্য প্রদান কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইন। বুধবার (২২ জুন) দুপুরে রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- জেলার দুর্গাপুর থানার দুর্গাপুর কালিদহ গ্রামের মো. জহুরুল হক (৬৫), দুর্গাপুর উপজেলার হিসাব রক্ষণ অফিসার ও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা বাবলুর রহমান (৫২) এবং একই উপজেলার নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের হিসাব সহকারী মো. আফসার আলী (৫৪)।

দুদকের দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে- রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার ধরমপুর গ্রামের মৃত জলিলের কন্যা মোসা. কাজল রেখা ওরফে জয়নব (৪১) তার মায়ের পেনশনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মোসা. কাজল রেখা ওরফে জয়নবের মা রাবেয়া খাতুন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সুইপার পদে চাকরি করতেন। তিনি চাকরিতে থাকাকালীন তার চাকরি সংক্রান্ত যাবতীয় পাওনাদি উত্তোলনের জন্য তার একমাত্র কন্যা জয়নবকে রাজশাহী বিভাগের ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব এ্যাকাউন্টস (রাজশাহী’র স্মারক নং রাজ/প্রশা/৮৬৬, তারিখ-০২/০১/১৯৮৬ খ্রি.) মূলে নমিনি নিযুক্ত করেন। কিন্তু জয়নবের শিশু অবস্থায় তার পিতা আব্দুল জলিল মারা যাওয়ায় আসামি মো. জহুরুল হকের সাথে তার মা রাবেয়া খাতুনের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। এতে জয়নব তার মায়ের সাথে জহুরুল হকের বাসায় থাকতেন।

পরবর্তীতে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্রে তার পিতার নাম মৃত আব্দুল জলিলের পরিবর্তে আসামি মো. জহুরুল হকের নাম ভুলবশত লিখে ফেলেন। জহুরুল হক দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কার্যালয়ে ‘নৈশ প্রহরী’ পদে চাকরি করেন। এই সুবাদে দুর্গাপুর অভিযুক্ত মো. জহুরুল ইসলাম অন্য দুই আসামির যোগসাজশে জয়নবের মায়ের পেনশনের টাকা আত্মসাৎ করেন।

জানতে চাইলে দুদকের রাজশাহীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ওই তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মৃত ওই মহিলা সুইপারের পেনশনের টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি আরও অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইগনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এএইচ/এস