দুর্গাপুরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ

দুর্গাপুর প্রতিনিধি:

রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে (জিআর)এর চাল আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ১০জন ইউপি সদস্য ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ তুলে তাদের স্বাক্ষরিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পাঁচটি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। দপ্তরগুলো হলো সচিব ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন রাজশাহী, জেলা প্রশাসক রাজশাহী ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

গত ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন কাওমি মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রী ও অসহায় গরীব দুঃস্থদের মাঝে বরাদ্দকৃত (জিআর)এর সরকারি ত্রাণের ১২০ বস্তা চাল যার ওজন ৬ হাজার কেজি বিতরণর জন্য উত্তোলন করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসা হয়। এর পরে সেইদিন ১৯৬ জনের মাঝে নির্ধারিত পরিমানের চেয়ে ২০ কেজি করে চাল কম দিয়ে নামে মাত্র বিতরণ কর্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে বেঁচে যাওয়া ৫০ বস্তা চাল ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে সংরক্ষণ করে রাখা হয়।

এর পর গত ১১ সেপ্টেম্বর সকালে ওই সকল ইউপি সদস্যরা ইউনিয়ন পরিষদের গিয়ে দেখেন পরিষদের হলরুমে চাল নেই।

হলরুমে দায়িত্বে থাকা হালিমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রেন্টুর বডিগার্ড শামীম পরিষদে এসে হল রুমের চাবি চায়। এর পরে তাকে চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে শামীম তার মোবাইল থেকে চেয়ারম্যানকে ফোন করে তাকে ধরিয়ে দেয়। পরে হালিমা বেগম চেয়াম্যানের আদেশে সেই ঘরের তালা খুলে দেন। এর পরে শামীম তিনটি ভ্যানগাড়ি যোগে ৫০ বস্তার মধ্যে ৩৪ বস্তা চাল নিয়ে চলে যায়। পরে সেই চাল চেয়ারম্যানের নির্দশে বিক্রি করা হয়।

এদিকে এমন ঘটনায় পুরো উপজেলা জুড়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। রিয়াজুল ইসলাম এর আগেও ভিজিডি-ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়ম করেছেন। এমনকি তিনি প্রকল্পের টাকা দিয়ে তিনি নিজের পুকুরে যাওয়ার রাস্তাও নির্মান করেছেন। তবে এধরনের অপারাধের জড়িতদের

বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবুল বাশার বলেন, তারা ১০ ইউপি সদস্য রিয়াজুল ইসলাম রেন্টুর বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতে অভিযোগ দিয়েছেন। রিয়াজুল ইসলাম এর আগেও ভিজিডি চাল বিতরণে অনিয়ম করেছেন। বারবার তিনি এধরনের অনিয়ম করেই চলেছেন।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহেল রানা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়েছে। তাদের মাধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারনে এমন ঘটনা ঘটেছে।

স/আর