দুই ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের সংবাদ সম্মেলন

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বসতবাড়ির জমি ও ঘর লিখে না দেওয়ায় দুই ছেলের নির্যাতন ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ অসহায় মা নার্গিস আক্তার (৬০)। ছেলেদের হাত থেকে বাঁচতে ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাগরপুর প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। নার্গিস আক্তার উপজেলার বাবনাপাড়া গ্রামের (উপজেলা সংলগ্ন) মৃত দুলাল মিয়ার স্ত্রী।

এ সময় তার মেজো ছেলে ফরিদ হোসেন মামুন মায়ের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার স্বামী প্রায় ১৪ বছর আগে মারা গেছেন। তার মৃতুর পর আমার ২য় ছেলে মামুন আমার ভরণপোষণ করে আসছে। আমার স্বামী মৃত্যুর আগে শুধু ভিটে ও দুটি ভাঙাচূরা ঘর রেখে যান। বড় ছেলে রিয়াজুল ইসলাম স্বপন (পলাশ) ও ছোট ছেলে সিরাজুল ইসলাম রতন কখনো আমার খোঁজখবর নেয়নি। তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে বাড়ির জমি নিয়ে বড় ও ছোট ছেলে আমার সঙ্গে বিরোধ করে আসছে। মেজো ছেলে ঝড় বৃষ্টি থেকে বাচাঁতে আমাকে একটি নতুন ঘর তৈরি করে দেয়। বাড়ির জমি ও ঘর নিয়ে ইতিমধ্যই কয়েক দফা আমাকে ও মেজো ছেলেকে মারধর করে। তাদের বিরুদ্ধে নাগরপুর থানায় পর পর তিনটি অভিযোগ দাখিল করেও কোনো প্রতিকার পাইনি।

থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর স্বপন ও রতন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন। এরই জের ধরে গত ১২ জুলাই ফের আমাকে ও মেজো ছেলে মামুনকে মারধর করে।  তিনি লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, আমার স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় ছোট ছেলে রতন তাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে টাঙ্গাইল কোর্টে রতনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এখন বড় ও ছোট ছেলেসহ তাদের স্ত্রী নিয়ে জোট বেঁধে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। আমি এক অসহায় মা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে সুবিচার ও নিরাপত্তার দাবি করছি।

তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল ঘরোয়াভাবে নন-জুড়িশিয়াল ২শ টাকার স্ট্যাম্পে বাড়ির জায়গা ও ঘরসহ সমহারে বণ্টন করে দেওয়া হয়। তারপরও আমার ও ছোট মেয়ের জমি জোরপূর্বক লিখে নিতে চায় বড় ও ছোট ছেলে।

বড় ছেলে রিয়াজুল ইসলাম স্বপন ওরফে পলাশ মাকে শারীরিক নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমাদের মধ্যে জমি সংক্রন্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। তবে মাকে নির্যাতনের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

নাগরপুর থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীর বড় ছেলে রিয়াজুল ইসলাম পারিবারিকভাবে এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়ায় পরবর্তীতে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সূত্র: যুগান্তর