দিনভর বুড়িগঙ্গায় ভাসলো ২১টি মৃত গরু

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় গরুবোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনায় রোববার দিনভর বুড়িগঙ্গায় ভেসে বেড়িয়েছে ২১টি মৃত গরু।

এসব মৃত গরু উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি। তীরে ভেসে মৃত গরু আসলে অনেককেই দেখা গেছে বাঁশ দিয়ে দূরে সরিয়ে দিতে।

গরুগুলোর মালিক টাঙ্গাইল জেলার চর পাকুল্যা গ্রামের মৃত. মদন আলী মুন্সীর ছেলে আব্দুল মান্নান জানান, টাঙ্গাইল থেকে ফতুল্লা হাটের উদ্দেশ্যে ট্রলারযোগে নদী পথে ৩১টি গরু নিয়ে আসছিলেন। সময় শনিবার সন্ধ্যায় ফতুল্লা হাটের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে আমাদের ট্রলারকে ধাক্কা দেয় এমভি ধুলিয়া-১ যাত্রীবাহী লঞ্চ। এসময় ৫টি গরুসহ আমারা ৭ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ২৬টি গরুসহ ট্রলারটি ডুবে যায়।

এরপর পুলিশ গিয়ে লঞ্চের চালককে লঞ্চসহ আটক করলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। কারণ ওই লঞ্চে প্রায় ৬-৭শ’ যাত্রী ছিল। তবে পুলিশ লঞ্চের মালিক পক্ষের লোকজনকে আটক রেখে ছিলেন।

গরুগুলোর মালিক আব্দুল মান্নান জানান, এ বিষয়ে লঞ্চের পক্ষ থেকে কোন ক্ষতিপূরণ না দেয়ায় ফতুল্লা মডেল থানায় লঞ্চের মালিক মিজানুর রহমান ও মাস্টার ফারুক হোসেনকে আসামি করে মামলার জন্য আবেদন করেছি।

তিনি জানান, সকালে নদীর বিভিন্ন স্থানে লোকজন নিয়ে খুঁজে দেখি বাঁধা অবস্থায় মৃতগরুসহ ট্রলারটি ভেসে উঠেছে। এছাড়া নদীর বিভিন্ন স্থানে ভেসে বেড়াতে দেখা গেছে আরো একাধিক মৃত গরু। এসব গরুর বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হলেও তারা কোনো সহযোগিতা করেনি। মৃত গরুগুলো নদীতে ভেসে স্রোতের সঙ্গে দূরে চলে যাচ্ছে।

এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, ক্ষতিগ্রস্থ গরু ব্যবসায়ীর অভিযোগ পেয়েছি। বুড়িগঙ্গা নদী কেরাণীগঞ্জ থানায় পড়েছে। শুধু তীর আমাদের ফতুল্লায়। তাদের অভিযোগটি কেরাণীগঞ্জ থানায় পাঠানো হয়েছে।