দারার ইন্ধনে পুঠিয়ায় আ.লীগের ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যার মামলার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ঝলমলিয়া হাটের ইজারাদার সুমন আহত হওয়ার প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে আওয়ামী লীগের ২০ নেতাকর্মীর বিুরদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হেয়েছে। এর পেছনে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা রয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। অন্যদিকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও এই মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিও জানানো হয়েছে। এ দাবিতে সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজশাহী নগরীর একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বলা হয়, গত ৯ জুলাই’ বিকেল ৫ টায় (এজাহারে উল্লেখিত) হামলায় গুরুতর আহত হন সুমন ইজারাদার। এই হামলার প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে সম্পূর্ন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা’র নির্দেশে একটি মামলা দায়ের করা হয়। রাজনিতীতে দারা-বিরোধী নেতৃবৃন্দকে আসামী কারা হয়। যা প্রকৃত ঘটনার আড়াল করা হয়েছে। এই ঘটনার অধিকতর তদন্ত বা বিচার বিভাগীয় তদন্ত করলে তবেই এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হবে।

এজাহারে বর্ণিত মামলায় পুঠিয়া-দূর্গাপুরের আওয়ামী লীগ নেতা রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল হক মাসুদ, সাবেক ছাত্রনেতা সাকিবুর রহমান মিঠুসহ মনগড়া ভাবে মোট ২০ (বিশ) জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর মাসুদের গ্রামের বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতিতে বাড়ির মহিলাদের লাঞ্ছিত করা এবং দরজা-জানালা, আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পরদিন মিঠুর বাড়িতে হামলা করে তার পিতাকে নিষ্ঠুর ভাবে পিটিয়ে আহত করা হয় এবং ঝলমলিয়া বাজারে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয় ।

১১ জুলাই বিকেলে পুঠিয়া উপজেলার আড়ানী বাজার বাস স্ট্যান্ডে সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দাতা দারা’র নির্দেশে সামাদ মোল্লা ও টিপু’র নেতৃত্বে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘সিটি ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা ও পাশে থাকা আহসান উল হক মাসুদের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।

সেই সময় তারা সিটি ব্যাংকের এজেন্ট শাখা থেকে নগদ ১৫ লক্ষ টাকা, একটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাব লুট করে ও ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা খুলে নেয় এবং আহসান উল হক মাসুদের কার্যালয়ে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রী’র ছবি ভাঙচুর করে সেখান থেকে একটি ল্যাপটপ লুট করে ও কার্যালয়ের এসি, টেলিভিশন, ওয়াফাই রাউটার, টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করে। এখানেও পুঠিয়া থানা পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক ছিল। যা তদন্তের দাবি রাখে। উল্লেখিত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিষয়ে থানায় বারবার অনুরোধ করা সত্বেও তারা কার্যকর কোন ভূমিকা গ্রহণ করেনি। এমনকি ক্ষতিগ্রস্থদের দায়ের করা মামলা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে ফেরত দেয়া হেয়ছে। পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই সন্ত্রাসী বাহিনী আওয়ামী লীগের নাম ব্যাবহার করে জামাত বিএনপির সময়ে পুঠিয়াতে সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল। তারাই এই ঘটনার সাথে জড়িত।

সুমনের আহত হওয়ার ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করে এবং সাজানো মামলা থেকে আহসান উল হক মাসুদ সহ ২০ জনকে অব্যাহতি প্রদানের জোর দাবি করা হয়। পুঠিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মনিরুল হক বিল্লাল সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

স/আর