দরপত্র ছাড়াই রাবি ছাত্রলীগের আম-লিচু বাগান দখল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আম ও লিচু বাগান দরপত্র ছাড়াই দখল নিয়েছে ছাত্রলীগের তিন নেতা। সাতটি বাগানের তিনটির দরপত্র গৃহিত হওয়ার আগেই বাগানগুলোতে পাহারা বসিয়েছে তারা। এমনকি গত বুধবার আম পাড়ায় এক শিক্ষার্থীকে মারধরের শিকার হয় বলেও ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।

ওই তিন নেতা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন সারোয়ার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফ করিম রুপম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সাবরুন জামিল সুস্ময়। সারোয়ারের বিরুদ্ধে দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে লিচু পাড়ার কারণে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকল্প দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর ও বাইরে মিলিয়ে মোট সাতটি বাগান রয়েছে। এর মধ্যে শহীদুল্লাহ ও মমতাজ উদ্দিন কলাভবনের সামনে দুইটি এবং রাকসু ভবনের পাশে একটিসহ তিনটি বাগানের দরপত্র এখনও গৃহিত হয়নি। আজ দুপুর পর্যন্ত দরপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্ধারিত ছিল। তবে কার দরপত্র গৃহিত হয়েছে এখনও সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। আর এই বাগান তিনটিই দখলে নিয়েছেন ওই তিন নেতা।

কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ক্যাম্পাসের গাছগুলোতে আম বা লিচু পাড়তে দেখলেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাঁধা দেয় এবং ভয়ভীতি দেখায়।

জানা গেছে, দরপত্র গৃহিত হওয়া চারটি বাগানের তিনটি নিয়েছেন রুহুল আমিন ও ফাহিম নামের দুই ঠিকাদার।

আজ বৃহস্পতিবার সুলতান নামের একজনকে দরপত্র না হওয়া রাকসু ভবনের বাগানে পাহারা দিতে দেখা গেছে। সুলতান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হলের সারোয়ার তাকে এই বাগান দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছে।’

সারোয়ার জানান, ‘রুহুল ভাই আমাকে বাগান দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছেন। বাকি তিনটি বাগানের জন্যও তিনি দরপত্র জমা দিয়েছেন। তার কথা মতোই বাগানগুলো দেখাশোনা করছি।’ তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি বলেন, ‘কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আর কাউকে মারধরও করিনি।’

তবে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ রুনু জানান, ‘এ বছর ছাত্রলীগ কোন বাগান নেয়নি। সারোয়ারের এক বড় ভাই বাগানগুলো নিয়েছেন। তাই সে দেখাশোনা করছে।’

এ বিষয়ে কৃষি প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রকৌ. মো. এমরান আলী বলেন, ‘চারটি বাগানের দরপত্র গৃহিত হয়েছে। বাকি তিনটির জন্যও আমরা দরপত্র আহ্বান করেছি। আজ পর্যন্ত দুটি দরপত্র জমা পড়েছে।’ তবে ছাত্রলীগের বাগান দখলের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।

স/অ