থামছে না পদ্মার ভাঙন, বাঘায় খোলা আকাশের নিচে দু’শতাধিক পরিবার

বাঘা প্রতিনিধি:
পদ্মার পানি কমতে শুরু করলেও থামছেনা ভাঙন। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পদ্মা গর্ভে চলে গেছে দুই শতাধিক পরিবারের আবাসস্থল। এমন পরিস্থিতিতে বাড়িঘর ভেঙে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন  তারা। ফলে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন অনেকেই।

জানা যায়, চকরাজাপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ডের কালিদাসখালী ও লক্ষীনগর চরের মানুষ ঘরবাড়ি অন্যত্রে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে ভাঙন থেকে ৭০ মিটার দুরে রয়েছে লক্ষীণগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। চলতি মৌসুমের শুরুতেই কালিদাসখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভাঙনের কারনে অন্যাত্রে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এছাড়া ভাঙ্গনের কবলে পড়ে পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে হাজার হাজার একর ফসলি জমি, বসত ভিটা, রাস্তা-ঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্টান, বিজিবি ক্যাম্প, মসজিদসহ। প্রায় সহস্রাধিক পরিবার। এই সব পরিবারের সব কিছু কেড়ে নিয়েছে পদ্মা। এদের অনেকেই বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বসত বাড়ি গড়ে তুলে বসবাস করছে। আবার অনেকেই খোলা আকাশে নিচে বসবাস করছেন। আবার কেউ কেউ বাড়িঘর ভেঙে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

৩ নম্বর কালিদাসখালী চর ও চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আমার ১৫ বিঘা আম বাগান নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। আমার বাড়িটাও অন্যত্রে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর ফজলুল হক বলেন, চকরাজাপুর বলে কোন চিহৃ নেই। ইতিমধ্যেই বিলিন হয়ে গেছে। কালিদাসখালী ও লক্ষীনগর ওয়ার্ডের চার ভাগের তিন ভাগ ইতিমধ্যেই পদ্মা গর্ভে চলে গেছে। তবে পানি কমলেও যেহারে ভাঙা শুরু হয়েছে, এভাবে ভাঙন থাকলে আর কিছু দিনের মধ্যে এই দুটি ওয়ার্ডও বিলিন হয়ে যাবে।

চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, প্রতি বছর ভাঙনের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শত শত পরিবার। তবে বর্তমানে ভাঙনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা বলেন, পদ্মার ভাঙ্গনের খবর পেয়ে সরেজমিন তদন্ত করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।

স/অ