ত্রাণ পায়নি তানোরে হিজড়ারা

টিপু সুলতান, তানোর প্রতিনিধি:

ফাইল-ফটো

তানোর উপজেলার হিজড়ারা বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকানপাট থেকে সাহায্য নিয়ে নিজের জীবিকা নিবাহ করে। কেউ কেউ উপজেলার বিভিন্ন হোটেলে কাজ করে সংসার চালায়। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সংক্রামন ঠেকাতে উপজেলার হোটেলগুলো বন্ধ রয়েছে। এতে হিজড়ারা পড়েছে বিপাকে।

তানোরে বিভিন্ন হোটেল কর্মচারী হিসাবে কাজ করতেন, তানোর পৌর এলাকার আকচা গ্রামের আলী হিজড়া, ঠাকুরপুকুর গ্রামের আশাদুল হিজড়া, চাঁনপুর গ্রামের দেলু, আকচা ফকিরপাড়া গ্রামের কালকি দেলু হিড়জাসহ অনেকে বলেন, ‘আমরা যেসব হোটেলে কাজ করতু করোনার ক্যানে পুলিশ বন্ধ করে দেয়, কবে পুলিশ হোটেল খুইলা দেবে সাংবাদিক ভাই ।’ পুলিশের ভয়ে রাস্তায় বাহির হতে পারিনা। এক বেলা খেয়ে না দিন পার করছি। হিজড়া বলে কেউ আমাদের খোঁজ খবর নেয় না। কোন সরকারী-বেসরকারী সাহায্য পায়নি।

তানোর উপজেলার হিজড়া গোষ্ঠীর প্রধান (গুরু মাতা) মনিরুল ইসলাম কনিকা বলেন, সব দোকান, হোটেল, যানবাহন চলাচল বন্ধ। আমাদের লোকজন কারো কাছে সাহায্য পাচ্ছে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কোন প্রকার সাহায্য দেয়া হয়নি। পুলিশ মাইকিং করে বলেছে বাড়িতে থাকুন নিরাপদ থাকুন। আমাদের পেট টা কি ভাবে চলবে।

শুনছি অনেকে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেয়াজ, সাবান, প্যাকেট করে বিতরণ করছে। তানোরে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫জন হিজড়া আছে । আমাদের সাহায্য কেউ দেয় না কেন। এমনকি আমাদের সচেতন ও নিরাপদে রাখতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান ও মাস্ক দেয়নি কেউ।

তানোর সমাজ সেবা কর্মকর্তা মতিনুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে হিজড়ারা কোন ত্রাণ পেয়েছে কি না আমার জানা নেয়।

তানোর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, প্রতিটি পৌর মেয়র ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের তালিকায় হিজড়াদের নাম থাকলে তারা অবশ্যই সরকারী ত্রাণ পাবে। না থাকলে কিভাবে পাবে।

 

স/আ