‘তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র ও সমাজকেই দায়িত্ব নিতে হবে। তারা যাতে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে পারে সেজন্য তাদের সে সুযোগ তৈরী করে দিতে হবে। কারণ অন্যান্য সাধারণ মানুষের মতো তারাও মানুষ। তাদের শিক্ষিত করার পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের সাথে সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। না হলে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’
সভায় রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু হায়াত মো. রহমতুল্লাহ বলেন, ‘হিজড়াদের অধিকার নিশ্চিতে সমাজের প্রতিটি মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের বৈষম্য থেকে রক্ষা করে সামাজিক নিরাপত্তা বিধান করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। হিজড়াদের জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আশ্রয়ন প্রকল্প গুচ্ছ গ্রাম গড়ে তুলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যেখানে তাদের জন্য
আবাসন ব্যবস্থা করা হবে। প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে করে তোলার পর প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগাতে ঋণের ব্যবস্থাও করা হবে ‘।
হিজড়াদের সংগঠন ‘দিনের আলো হিজড়া সংঘ’র সাধারণ সম্পাদক সাগরিকা খান বলেন, আমরা সমাজের বোঝা হতে চাই না। সব মানুষেরই কোনো কোনো সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেগুলো কাটিয়ে উঠতে চারপাশের মানুষের সহায়তা প্রয়োজন হয়। সমাজের প্রতিটি মানুষ নিজ নিজ জায়গা থেকে আমাদের সহায়তা করলে আমরাও আমাদের দেশের উন্নয়নে কাজ করতে পারবো। সমাজে আমাদের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত হলে হাত পেতে ভিক্ষা করার লজ্জা থেকে আমরা মুক্তি পাবো।
পরামর্শক সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যাললেয়র নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. কামাল পাশার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর ডেপুটি সিভিল সার্জন বার্নাবাস হাসদাক, রাবির নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম ফারুক সরকার, রাজশাহী সমাজসেবা কর্মকর্তা আশিকুজ্জামান, বন্ধু
সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির প্রোগ্রাম ম্যানেজার উম্মে ফারহানা জারিফ কান্তা, সিনিয়র লিগ্যাল অফিসার সারা আরজুমান।