তুলিকে কেনো অস্বাভাবিক মৃত্যুর পথ বেছে নিতে হলো?

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

মানবজীবনের প্রকৃত বন্ধুই হচ্ছে মৃত্যু, কিন্তু সেই মৃত্যু হতে হবে এবং হওয়া উচিত স্বাভাবিক। হত্যায় যেমনি মৃত্যুকে করে প্রশ্নবিদ্ধ, মুড়িয়ে দেয় নির্মমতার চাদরে, তেমনি আত্মহত্যায় ম্লান করে দেয় স্বাভাবিক মৃত্যুর ঔজ্জ্বল্যকে। জন্ম-মৃত্যু তো প্রকৃত সৃষ্ট স্রষ্টার আরোপিত এক অমোঘ বিধান। জন্মের পরিণতিই হলো মৃত্যু।

সাংবাদিক তুলি মৃত্যুবরণ করেছে। যে মৃত্যুটা নিয়ে উদ্রেক করেছে প্রশ্নের। নিজগৃহে ওকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, তুলি আত্মহত্যা করেছে!

সৃজনশীল চিন্তাচেতনায় বেড়ে ওঠা একজন তুলি কেনো আত্মহননের পথ বেছে নিলো? এরকম মৃত্যু যেমনি বিষাদ বেদনার, তেমনি বেমানানও। তুলি তো উচ্চশিক্ষিত ও কুশল কর্মা একজন পেশাদার সাংবাদিক। তাঁর জীবনকর্ম-তো অন্ধকারকে তাড়া করে আলোর পথ বাতলে দেয়ার কথা, কিন্তু কী করলো সে!

তুলিকে সর্বদা দেখিছি সদা সহাস্যমুখী, তবে কী ওর ওই আলোর মাঝে লুকায়িত ছিলো, বিষাদ বেদনার সীমাহীন কোনো কষ্ট-যা অতিক্রম করতে পারলো না সে? এ জন্যই বুঝি স্ব প্রনোদিত বিচার! নিজের বিরুদ্ধে নিজের মৃত্যুদণ্ডদান! জীবননামক যন্ত্রটাকে বিকল করে তুলি- তুলির আঁচড়ে লিখে গেলো ” তুলি আত্মহত্যা করেছে।”

তুলির আত্মহত্যা কোনো প্ররোচনায় সংঘটিত হলো কিনা, সেটা খতিয়ে দেখতে প্রসারিত হোক আইনের হাত এবং রাষ্ট্র তা নিশ্চয়ই করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সোহানা পারভীন তুলি। ওর সঙ্গে পরিচয় সে যখন বসুন্ধরা গ্রুপের জনপ্রিয় দৈনিক কালের কণ্ঠে। ওর সর্বশেষ কর্মস্থল বাংলা ট্রিবিউন। ঢাকার রায়ের বাজারের ভাড়া বাসায় থাকতো তুলি।

আত্মহত্যায় নিজের মৃত্যু ঘটালো – সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন খবর দেখে ওর মিষ্টি মুখ খানা চোখের আয়নায় ভেসে উঠলো – যেনো ওর কণ্ঠটা কানে বেজে উঠলো- “ভাইয়া কেমন আছেন, “আপনার লেখাটি সেই-রকম হয়েছে।”

“তুলি তোমার মৃত্যুটা কিন্তু “সেই-রকম” হলো না, যেমনটি মানুষ হিসেবে স্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ার কথা।”

তুমি যদি দিকবিদিকশূন্য হয়ে আত্মহত্যা করে থাকো, তবু এ যে মহাপাপ। প্রার্থনা, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তোমাকে ক্ষমা করে দিয়ে নসীব করুন জান্নাতুল ফেরদৌস।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন