তুচ্ছ ঘটনায় রাবি শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের মারধর

নিজস্ব প্রতিবেদক:
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুর একটার দিকে ওই শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হন বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সালমান। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। মারধরে তার নাকে জখম হয়। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

অপরদিকে, অভিযুক্ত মারধরকারীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রমিজুল ইসলাম রিমু ও ছাত্রলীগ কর্মী মর্তুজা হাসান সুহাস। তারা দুজনই মারধরের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে ক্লাস শেষে সালমান বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরের একটি দোকানে বসে ধুমপান করছিলো। এ সময় পাশে বসে থাকা ছাত্রলীগ নেতা রমিজুল তাকে ধুমপান করতে নিষেধ করেন। তখন সালমান ‘আপনি নিষেধ করার কে’ বললে রমিজুলের সঙ্গে সালমানের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রমিজুল ও সুহাসসহ কয়েকজন সালমানকে মারধর করে। মারধরে সালমানের নাক থেকে রক্তক্ষরণ হয়। পরে সালমান নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে যান।

ভুক্তভোগী সালমানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে তাদের (ছাত্রলীগের) পাওয়ার প্র্যাকটিস এখন মুখ্য বিষয়। তারা অযথাই আমাকে মেরেছে। ইচ্ছা করলে ওই সময় তাদের সঙ্গে গন্ডগোল করতে পারতাম। কিন্তু আমি চাই না বিষয়টি নিয়ে আরও ঝামেলা তৈরি হোক।’

মারধরের বিষয়ে রমিজুল বলেন, ‘সালমানকে ধুমপান করতে নিষেধ করেছিলাম। তার সঙ্গে আমার সামান্য তর্ক হয়েছিলো। সে চলে যাওয়ার সময় দুই-একজন ছোট ভাই তাকে চড়-থাপ্পড় মেরেছে। আমি কিছু করিনি।’ তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা সুহাসকে মারধর করতে দেখলেও বিষয়টি অস্বীকার করেন সুহাস। তিনি দাবি করে বলেন, ‘আমি ওই সময় ঘটনাস্থলেই ছিলাম না।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘মারধরের বিষয়ে শুনেছি। আমি দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করবো।’

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমানকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

স/অ