তীব্র পানি সংকটে মারিউপোলের বাসিন্দারা

পূর্ব ইউক্রেনের মারিউপোল শহর প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। সেখানে তীব্র লড়াইয়ের কারণে শহরের বাইরে থেকে কেউ সেখানে প্রবেশ বা বের হতে পারছেন না। সাহায্য-সহায়তা নিয়ে আসা বিভিন্ন যানবাহনকেও শহরের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে শহরের উপকণ্ঠে মানবিক সহায়তা নিয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

রেড ক্রসের ইন্টারন্যাশনাল কমিটির জেসন স্ট্র্যাজিউসো আল জাজিরাকে বলেন, মারিউপোলে হাজার হাজার পরিবার পানি ছাড়া শোচনীয় অবস্থায় রয়েছেন। তিনি বলেন, এমনকি আমাদের দলও (রেড ক্রস) নদী থেকে পানি সংগ্রহ করছে … কিন্তু সবাই সেটা কিভাবে করবে… বিশেষ করে যদি কেউ বয়স্ক হয়।

এদিকে তৃতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন। ইউক্রেনের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে স্থানীয় সময় শনিবার (১২ মার্চ) বিমান হামলার সতর্ক সংকেত পাওয়া গেছে। খারকিভ, চেহেরনিভ, সুমি ও মারিউপোলের মতো শহর ঘিরে রেখেছে রুশ বাহিনী।

বোমা হামলার খবরও মিলছে। স্থানীয়রা বলছেন, কিছু সময় পরপর শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের শব্দ। রাজধানী কিয়েভের কাছে দুপক্ষের ব্যাপক লড়াই চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কিয়েভে রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলার আশঙ্কাও রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ১৩শ ইউক্রেনীয় সেনা মারা গেছে। কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রুশ সৈন্যদের প্রাণহানি হয়েছে এর চেয়ে দশ গুণ বেশি। তিনি বলেন, শত শত রুশ সৈন্য আত্মসমর্পণ করেছে। যদিও তার দাবি কতটা সত্য তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশের পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রাশিয়ার সেনারা। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে, এমনকি বেলারুশ থেকেও হামলা চালানো শুরু হয়। ধীরে ধীরে রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয় রুশ সেনারা।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ